ঝালকাঠি প্রতিনিধি॥
ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ শামীম আহমেদ এর কার্যালয়ে গেটে তালা মেরে বিক্ষোভ ও ২ ঘন্টা কর্মবিরতি করেছে তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীরা । শনিবার (৩০ মার্চ) সকাল ১০টার দিকে হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় অবস্থিত তত্ত্বাবধায়ক ডা:শামীম আহমেদ এর কার্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীরা প্রথমে ভীড় জমিয়ে বিক্ষোভ করে এবং কর্ম বিরতির ডাক দেয়। তারা বলেন,তাদের ব্যাংক একাউন্টে বৈশাখী ভাতা ও বোনাসের টাকা টাকা ১০ রমজানের মধ্যে জমা হওয়ার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত জমা না হওয়ার কারণে তারা কেচিগেটে তালা মেরে অবস্থান নিয়েছেন। এসময় ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ ইমাম হোসেন জুয়েল আন্দোলনরত তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীদের শান্ত করতে দেখা যায়। তিনি কর্মচারীদের বলেন, সার্ভারে একটু সমস্যা হয়েছে। তোমরা একদিন অপেক্ষা করো। এরমধ্যে ঠিক হয়ে যাবে।
ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী মো: মহাসিন এ প্রতিবেদককে বলেন,বরিশাল বিভাগের সকল জেলায় বেতন,বোনাস,বৈশাখী ভাতা নির্দিস্ট সময়ের মধ্যে পেয়েছে। কিন্তু ঝালকাঠিতে আমরা বেতন,বোনাস এবং ভাতা এখন পর্যন্ত কিছুই পাই নাই। আমরা ইদের বাজার কিভাবে করবো? আমাদের সন্তানেরা ইদের কেনাকাটা করতে পারছে না। আমরা কষ্টের মধ্যে আছি।
অণ্যান্য কর্মচারীরা জানায়,১০ রমজানের পর সকল সরকারি অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারীদের বেতন বোনাস প্রদান করা হয়েছে। এমনকি ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের কর্মকর্তা,চিকিৎসক ও নার্সদের বেতন বোনাস প্রদান করা হয়। কিন্তু হাসপাতালের তত্ত্বাবধায় ডাঃ শামীম আহম্মেদ ইচ্ছে করে ৪৯ জন কর্মচারীর বেতন বোনাস এখনো অনলাইনে দাখিল করেনি। তিনি বেশিরভাগ সময়ই ঢাকাতে থাকেন। ঠিকমত অফিস না করায় তিনি সময়মতো কর্মচারীদের বেতন বোনাস দেননি। এতে এখনো ঈদের কেনাকাটা করতে না পেরে হতাশ হয়ে পড়েছেন কর্মচারীরা। দ্রুততম সময়ের মধ্যে বেতন বোনাস প্রদানের দাবি জানিছেন তাঁরা। অন্যথায় লাগাতার কর্মসূচি দেওয়ার হুশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা। খবর পেয়ে ঝালকাঠির সিভিল সার্জন ডাঃ এইচএম জহিরুল ইসলাম এসে কর্মচারীদের শান্ত করলে কর্মবিরতী শেষ করেন কর্মচারীরা।
ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের আরএমও ডাঃ এসএম মেহেদি হাসান সানি বলেন,আমি ছুটিতে আছি। শুনেছি হাসপাতালের তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীরা বোনাস ও বৈশাখী ভাতা না পাওয়ার কারণে তত্ত্বাবধায়কের কার্যালয়ে গেটে তালা মেরে আন্দোলন করছে। ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ শামীম আহমেদ বলেন,এগুলো আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। তারা বেতন বোনাস পাচ্ছে। সার্ভারে সমস্যার কারনে একটু দেরী হচ্ছে। আমি হাসপাতালের অনিয়ম দূর্ণীতি বন্ধ করে দিয়েছি বলে তারা আমার বিরুদ্ধে এসব ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। একটি চক্র তাদেরকে আমার বিরুদ্ধে লাগিয়ে দিয়েছে।
https://slotbet.online/