সরকার হিমাগার থেকে আলুর দাম কেজিপ্রতি ২২ টাকা ঠিক করে দিলেও তা মানা হচ্ছে না। বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ১১ টাকায়। আবার সরকার ৫০ হাজার টন আলু কেনার ঘোষণা দিলেও দুই মাসে তা বাস্তবায়ন হয়নি। দাম না পেয়ে ব্যাপক লোকসান গুনতে হচ্ছে কৃষকদের। আগামী মৌসুমে আলু চাষ নিয়েও শঙ্কায় তারা।
চলতি মৌসুমে চাহিদার চেয়ে প্রায় ৪০ লাখ টন বেশি আলু উৎপাদিত হয়েছে। ফলে দাম কমে যাওয়ায় লোকসানে পড়েছেন কৃষকরা। এমন পরিস্থিতিতে আগস্টের শেষে হিমাগার গেটে প্রতি কেজি আলুর মূল্য ২২ টাকা নির্ধারণ করে কৃষি মন্ত্রণালয়। একই সঙ্গে ৫০ হাজার টন আলু কেনার কথাও জানায় মন্ত্রণালয়। কিন্তু এসব ঘোষণা বাস্তবায়নে এখনো কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
হিমাগারে বর্তমানে প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৯ থেকে ১১ টাকায়। উৎপাদন খরচ না ওঠায় চরম বিপাকে কৃষকরা। আগামী মৌসুমে আলু চাষ নিয়েও শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
একজন কৃষক বলেন, ‘২২ টাকা রেট দেওয়ার আগে টুকটাক বিক্রি করেছি ১৬–১৭ টাকায়। সরকার দাম বেঁধে দেওয়ার পর উল্টো দাম হয়েছে ১০ টাকা। আমরা যে লোন নিয়েছি, তার কী হবে?’
কৃষকদের সুরক্ষায় সরকারের আলু ক্রয় সিদ্ধান্তের দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছে হিমাগার মালিক সমিতি। পাশাপাশি আগামী মৌসুমে চাষিদের জন্য বিশেষ প্রণোদনা চেয়েছে সংগঠনটি।
হিমাগার মালিক সমিতির জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি ইশতিয়াক আহমেদ বলেন, ‘সরকার ৫০ হাজার টন আলু কিনে নেবে সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে—এমন একটি ঘোষণা এসেছিল। এর জন্য ন্যূনতম একটি দামও নির্ধারণ করা হয়েছিল, হিমাগার গেটে ২২ টাকা। দুর্ভাগ্যজনক হলেও, দুটি সিদ্ধান্তের কোনোটিই এখন পর্যন্ত বাস্তবায়ন হয়নি।’
হিমাগার মালিক সমিতির তথ্যমতে, দেশে ৩৪০টি হিমাগারে বর্তমানে প্রায় ১২ লাখ টন আলু অবিক্রিত অবস্থায় পড়ে আছে।
https://slotbet.online/