বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের একটি গুরুত্বপূর্ণ সেতু এখন ধসের আশঙ্কায় ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। মহাসড়কের উজিরপুরের বামরাইল বাজার এলাকার সেতুর নিচের তিনটি গার্ডারের মধ্যে দুটি গার্ডারে ফাটল দেখা দিয়েছে।
সেতুটি টিকিয়ে রাখতে সড়ক বিভাগ বালুর বস্তা ফেলে অস্থায়ীভাবে ঠেকনা দিয়েছে। তবু স্থানীয়দের আশঙ্কা, যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ হয়ে যেতে পারে ঢাকার সঙ্গে দক্ষিণাঞ্চলের প্রধান এই সড়কপথ।
একই সঙ্গে দক্ষিনাঞ্চলের সঙ্গে রাজধানী ঢাকার সড়ক যোগাযোগ বিচ্চিন্ন হয়ে পড়বে।
প্রতিদিন শত শত যাত্রীবাহী বাস, ট্রাক ও মোটরসাইকেল চলে এই সেতুর ওপর দিয়ে। ফাটল ধরা গার্ডার আর বালুর বস্তার ঠেকনায় চলছে যান চলাচল, এতে প্রতিনিয়ত বাড়ছে দুর্ঘটনার ঝুঁকি।
সেতুর দুই প্রান্তে গতিরোধ স্থাপন করা হয়েছে। একইসঙ্গে ঝুঁকিপূর্ণ সেতু হিসেবে ঘোষণা করে দুই প্রান্তে সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দিয়েছে সড়ক ও জনপদ বিভাগ।
স্থানীয় ভ্যানচালক ছালাম সরদার, মো. মামুন খান বলেন, ‘দেশ স্বাধীন হওয়ার আগে সেতুটি নির্মিত হয়েছিল। তারপর আর সংস্কার হয়নি। পদ্মা সেতু চালুর পর প্রতিদিন হাজার হাজার ভারী যানবাহন এই পথে চলছে। নিচের মাটি সরে গেছে, সেতুর পাশে বড় গর্ত হয়েছে। এখন ছোট গাড়ি গেলেও সেতু দুলে ওঠে।’
স্থানীয়রা জানান, পাঁচ দিন আগে সওজ কর্মকর্তারা উজিরপুরের বামরাইল বাজার এলাকায় সেতুটি পরিদর্শন করেন। পরদিনই অন্তত ৪০ জন শ্রমিক নিয়ে শুরু হয় সংস্কারকাজ।
তারা সেতুর নিচে বালুর বস্তা ফেলে গার্ডারে ঠেকনা দেন। তবে স্থানীয়দের দাবি, স্থায়ী সংস্কার না হলে রাজধানী ঢাকার সঙ্গে বরিশাল, পটুয়াখালী, ঝালকাঠিসহ দক্ষিণাঞ্চলের পুরো সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে।
https://slotbet.online/