ডেঙ্গুর প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় ডেঙ্গু প্রতিরোধে বিশেষ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান অনুষ্ঠিত হয়েছে মহিপুরে । বুধবার সকালে পটুয়াখালীর মহিপুর থানার লতাচাপলী ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো,কাউছার হামিদ।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মোঃ মিজানুর রহমান, চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) লতাচাপলী ইউনিয়ন পরিষদ। এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আরাফাত হোসেন, সিপিপির পরিচালক আসাদুজ্জামান খান প্রমুখ।
পরে মহিপুর, কুয়াকাটা ও আশপাশের বিভিন্ন স্পটে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণে পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালিত হয়। এলাকাবাসীকে সচেতন করতে মাইকিং করা হয় এবং মাইকিং ফগার মেশিনের মাধ্যমে মশার লার্ভা ধ্বংসে স্প্রে করা হয়।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন মহিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলু গাজী, লতাচাপলী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মহিউদ্দিন মুসল্লি সুলতান, সাধারণ সম্পাদক সেলিম হাওলাদার, থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আতিকুর রহমান মিলনসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শংকর প্রসাদ অধিকারী বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে সবচেয়ে কার্যকর উপায় হলো আশপাশ পরিষ্কার রাখা এবং জমে থাকা পানি অপসারণ করা। প্রতিটি পরিবারকে নিজেদের আঙিনা নিয়মিত পরিষ্কার রাখতে হবে। এটি কেবল সরকারি উদ্যোগ নয়, আমাদের সবার যৌথ দায়িত্ব। আমরাই ইতোমধ্যেই মাইকিং সহ সচেতনতামূলক বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো, কাউছার হামিদ বলেন, ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবেলায় আমরা সকলে মিলে কাজ করছি। ইউনিয়ন পর্যায় থেকে শুরু করে প্রত্যেক ওয়ার্ডে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চলবে। মশা নিধনে ফগার মেশিন দিয়ে ডোবা-নালায় স্প্রে করা হয়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের পাশাপাশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও স্বেচ্ছাসেবীদের এগিয়ে আসতে হবে। সচেতনতা ও সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমেই ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ সম্ভব।
আয়োজন করে লতাচাপলী ইউনিয়ন পরিষদ, কলাপাড়া, পটুয়াখালী। অভিযান শেষে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ এবং জনগণকে ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় সম্পর্কে অবহিত করা হয়।
এ রকম আরো সংবাদ...