• সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫, ০৩:১৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
গাজা ও জুলাইয়ের শহীদদের স্মরণে দোয়া, হাতেম আলি কলেজে বা.গ.ছা.স’র প্রথম পরিচিতি সভা বিএম কলেজে ছাত্রশিবিরের নবীন বরণ: নতুনদের হাতে আল কুরআন ও স্বপ্নের দিকনির্দেশনা বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হয়েছে “ন্যাশনাল ইয়ুথ রিসার্চ সামিট ২০২৫” জান-মালের নিরাপত্তা দিতে পারলেই হিন্দুরা সেই পক্ষেই ভোট দেবে বিমানবন্দরে আগুনের সূত্রপাত যেখান থেকে তরুণদের দিকে তাকিয়ে আছে দেশ-জাতি : ইউজিসি ড. এস এম এ ফায়েজ ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা, ট্রলার ও জাল মেরামতে ব্যস্ত জেলেরা মেঘনায় অভিযানে ১১ জেলে আটক কলাপাড়ায় ছয় ব্যবসায়ীকে ৩২ হাজার টাকা জরিমানা ডিসেম্বরেই সংসদ নির্বাচনের তফসিল : সিইসি

২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা, ট্রলার ও জাল মেরামতে ব্যস্ত জেলেরা

এ এম মিজানুর রহমান বুলেট, কলাপাড়া / ১০ পড়া হয়েছে
প্রকাশিত : শনিবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২৫

প্রতি বছরই অক্টোবর মাসে ২২ দিনের জন্য বঙ্গোপসাগর ও নদ-নদী  মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে সরকার।মৎস্য অধিদপ্তরের ঘোষণা অনুযায়ী, ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে ইলিশ সংরক্ষণের লক্ষ্যে।
ইলিশের প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ রক্ষায় সরকারের এই উদ্যোগের ফলে সমুদ্রগামী জেলেরা বর্তমানে মাছ শিকার থেকে বিরত রয়েছেন।এই সময়ে বসে নেই উপকূলীয় এলাকার মৎস্যজীবীরা। এই সময় কাজে লাগিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন নিজেদের ট্রলার ও জাল মেরামতের কাজে। অনেকে আবার ট্রলারে রং করানো, জাল মেরামত,ইঞ্জিনের যন্ত্রাংশ ঠিক করার মতো কাজেও মন দিয়েছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে মৎস্য বন্দর মহিপুর, আলীপুর ও কুয়াকাটা এলাকার বিভিন্ন জেলে পল্লী এবং ডগ গুলো ঘুরে দেখা যায়, দিনরাত মাছধরা ট্রলার, নৌকা ও জাল মেরামত কাজে ব্যস্ত রয়েছে জেলেরা।
স্থানীয় মৎস্য ব্যবসায়ী মো,মজনু গাজী বলেন, এই ২২ দিনের অবসর সময় আমাদের জন্য সবকিছু মেরামত করার সুযোগ। ট্রলার মেরামত, জাল ঠিক করা, ইঞ্জিন সার্ভিসিং,সবকিছু ঠিক করছে জেলেরা, যেন নিষেধাজ্ঞা শেষে পূর্ণ উদ্যমে মাছ ধরতে যেতে পারে।
 জেলে আ: রহিম মিয়া বলেন, মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞার এই সময় ট্রলার মেরামত ও পুরোনো জালগুলো ঠিক করে নিচ্ছি। নিষেধাজ্ঞা শেষ হলেই আবার সাগরে নামতে হবে, তাই সব ধরনের কাজ গুলো গুছিয়ে নিচ্ছি।
জেলে নেতা মো মোস্তফা মাঝি বলেন, এ সময় অনেক জেলে কর্মহীন হয়ে পড়ে। সরকারি সহায়তা হিসেবে চাল সরবরাহ করা হলেও তা অনেক সময় পর্যাপ্ত হচ্ছে না। আবার অনেক  জেলেদের জেলে কার্ড না থাকায় সরকারি সহায়তা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে তারা। আমরা চাই যারা সত্যিকারের জেলে তারা যেন সবাই জেলে কার্ড এর মাধ্যমে সরকারি সহায়তা ভোগ পায়।
কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা ইলিশের উৎপাদন বাড়াতে সহায়ক ভূমিকা রাখে। এই পদক্ষেপের ফলে ইলিশের প্রজনন নিরাপদ হয় এবং পরবর্তীতে এর প্রভাব বাজারে ইলিশের সরবরাহ ও দামে ইতিবাচকভাবে পড়ে। কলাপাড়া উপজেলায় শতভাগ নিষেধাজ্ঞা পালনের কথাও বলেন তিনি।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো, কাউছার হামিদ বলেন,এ সময় কেউ সমুদ্রে মাছ ধরতে গেলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।কোস্ট গার্ড,নৌ পুলিশ ও মৎস্য বিভাগের টহল জোরদার করা হয়েছে। ইলিশের প্রজনন মৌসুমে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করায় জেলেদের সাময়িক কষ্ট হলেও দীর্ঘমেয়াদে মাছের উৎপাদন বাড়বে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ রকম আরো সংবাদ...
https://slotbet.online/