দেশকে পুনর্গঠিত করার লক্ষ্যে প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি ভুলে গিয়ে নিজেদের মধ্যে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে বলে মন্তব্য করেন বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার মোঃ রায়হান কাওসার।
আজ (মঙ্গলবার) জেলা শিল্পকলা একাডেমি হলরুমে জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে জুলাই শহিদ পরিবার ও যোদ্ধাদের সংবর্ধনা, আলোচনা সভা এবং জুলাই নিয়ে নির্মিত চলচ্চিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বিভাগীয় কমিশনার এ কথা বলেন।
বিভাগীয় কমিশনার আরও বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থান ছিল একটি ঐতিহাসিক ঐক্য ও গণপ্রতিরোধের প্রতিচ্ছবি। সেই সময়ে জনগণ যে সাহস ও ঐক্য নিয়ে স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিল, সেই চেতনা ও ঐক্য সকলের ধরে রাখতে হবে। ঐক্যের ভিত যত মজবুত হবে, ততই দেশবিরোধী ও শান্তিবিরোধী অপশক্তিরা দুর্বল হয়ে পড়বে। অনৈক্য বা বিভাজনের সুযোগ নিলে ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটতে পারে। আবারও কোনো স্বৈরাচারী শাসক ফিরে এসে দেশের উন্নয়ন ও জনগণের শান্তি ধ্বংসের চেষ্টা করতে পারে।
অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি মোঃ মঞ্জুর মোর্শেদ আলম, উপপুলিশ কমিশনার মোঃ শরফুদ্দীন, পুলিশ সুপার মোঃ শরিফ উদ্দীন ও বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আলম ফরিদ এবং এবায়দুল হক চাঁন বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন।
এসময় ৩০ জন শহিদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। এর আগে জুলাই যোদ্ধা রাকিব হোসেন, আবুল কালাম আজাদ, তামীম আহমেদ, মেহেদী হাসান, এস এম রহমত উল্লাহ সর্দার, হাবীবুর রহমান মুন্সী, মশিউর রহমান জোবায়ের, রাকিব হোসেন, কামাল হোসেন, মাসুম বিল্লাহ ২৪ জুলাই আন্দোলনের স্মৃতিচারণ করেন। এছাড়াও শহিদ সাজিদ হাওলাদারের বাবা সুলতান হাওলাদার, শহিদ আরিফুর রহমানের স্ত্রী সনিয়া আক্তার, শহিদ রিয়াজ রারীর ভাই রেজাউল করিম এবং শহিদ ওয়াজেদের স্ত্রী শাহানাজ পারভীন শহিদ পরিবারের পক্ষে বক্তৃতা করেন।
আলোচনা সভায় রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাসহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সকাল নয়টায় বিভাগীয় কমিশনার আমতলা মোড়ে শহিদের স্মরণে দেয়ালচিত্র ও সবুজায়ন কর্মসূচি উদ্বোধন করেন।
https://slotbet.online/