• মঙ্গলবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০১:০১ অপরাহ্ন

শেবাচিম হাসপাতালের অব্যবস্থাপনা পরিবর্তনের দাবিতে সড়ক অবরোধ-কাফন মিছিল

স্টাফ রিপোর্টার / ৩৫ পড়া হয়েছে
প্রকাশিত : শনিবার, ২ আগস্ট, ২০২৫

বরিশাল ‎শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালসহ বাংলাদেশের সকল সরকারি হাসপাতালের অব্যবস্থাপনা পরিবর্তন ও স্বাস্থ্যখাত সংস্কারের তিন দফা দাবিতে সড়ক অবরোধ করে অবস্থান কর্মসূচি এবং পরে প্রতীকী লাশ নিয়ে মিছিল বের করা হয়। সর্বস্তরের ছাত্র জনতার ব্যানারে শনিবার ২ আগস্ট দুপুর ১২ টায় বরিশাল নগরীর অশ্বিনী কুমার টাউন হলের সামনে সদর রোডে ষষ্ঠ দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়।
পরে কাফনের কাপড়ে মোড়ানো প্রতীকী লাশ নিয়ে এক প্রতিবাদী কাফন মিছিল বের করা হয়। যা সদর রোডসহ নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক হয়ে শেবাচিম হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ফটকের সামনে গিয়ে শেষ হয়। মিছিলের স্লোগানে শেবাচিমকে ‘দুর্নীতি ও অনিয়মের আঁতুড়ঘর’ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়।
এসময় বিক্ষোভকারীরা বলেন, শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একজন রোগী চিকিৎসা নিতে গেলে তাকে পদে পদে হয়রানির শিকার হতে হয়। হাসপাতালের অবকাঠামো, দক্ষ জনবল, আধুনিক যন্ত্রপাতি ও ওষুধ সরবরাহসহ সর্বক্ষেত্রে আজ সাধারণ মানুষ ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। এ অবস্থায় সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে গত পাঁচ দিন ধরে তারা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। ষষ্ঠ দিনে সড়ক অবরোধ করে অবস্থান কর্মসূচি ও প্রতীকী লাশ নিয়ে মিছিল বের করা হয়েছে।
তারা বলেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এখনো পর্যন্ত কোন কার্যকর আশ্বাস দেয়নি, যা স্বাস্থ্যখাত সংস্কারের যৌক্তিক দাবিগুলোর প্রতি চরম অবহেলার প্রমাণ। তারা হুঁশিয়ারি দেন, দাবি বাস্তবায়নে দ্রুত ও সন্তোষজনক পদক্ষেপ না নেওয়া হলে আন্দোলন আরও দীর্ঘমেয়াদি ও কঠোর হবে।
এদিকে যতদিন পর্যন্ত দাবি আদায় ও বাস্তবায়ন কার্যক্রম শুরু না হবে ততদিন পর্যন্ত এই আন্দোলন চলবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন আন্দোলনকারীরা।
কর্মসূচিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন রনিসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনতা অংশ গ্রহণ করেন।
এদিকে আন্দোলনের সময় দুজন শিক্ষার্থী তৌহিদুল ইসলাম রোহান ও সুলাইমা জান্নাত সিফা অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদেরকে জরুরি বিভাগে নেওয়া হলে হয়রানির শিকার হওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতার পক্ষ থেকে জানানো হয়, জরুরি বিভাগে অসুস্থ শিক্ষার্থীদের তৎক্ষণাৎ চিকিৎসা দেয়া হয়নি, তবে ট্রলি ব্যবহারের নামে হয়রানির শিকার হতে হয় এবং চিকিৎসা পেতে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়। পরে আন্দোলনরতদের চাপের মুখে সংশ্লিষ্টরা তড়িঘড়ি করে চিকিৎসা সেবা প্রদান করেন।
জনগণের এই আন্দোলন বরিশালের স্বাস্থ্যখাতে স্বচ্ছতা ও মানবিকতা ফেরানোর লক্ষ্যে চলমান থাকবে বলে জানান শিক্ষার্থীরা।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ রকম আরো সংবাদ...
https://slotbet.online/