 
						দীর্ঘদিন অকেজো হয়ে পরে আছে কোটি টাকা মূল্যের এ্যাম্বুলেন্সগুলো। ২০২১ সালে ভারত থেকে উপহার হিসেবে এই এ্যাম্বুলেন্স দেয়া হয়েছিল বরিশাল সিটি করপোরেশন, বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বরিশাল ফায়ার সার্ভিসকে। করোনাকালীন সময়ে কিছুদিন ব্যবহার হওয়ার পর সম্পূর্ণ লাইফ সাপোর্ট সুবিধা বহনকারী বরিশাল সিটি করপোরেশনের অত্যাধুনিক এ্যম্বুলেন্সটি পরে আছে বরফকলে সংলগ্ন গ্রেজে। জানা গেছে, এটি নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রয়োজনীয় লোকবল নেই।
ফায়ার সার্ভিসের এ্যম্বুলেন্সটির কি অবস্থা সে সম্পর্কে কিছু বলতে নারাজ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। বলছেন, তথ্য পেতে হলে উর্ধতন কর্মকর্তা বরাবর আগে আবেদন করতে হবে। তবে দু’বছরেরও বেশি সময় ধরে অকেজো রয়েছে এই এ্যাম্বুলেন্স এবং বরিশাল জোনের অধিনে চারটি জেলার ২৯টি ফায়ার সার্ভিসের জন্য এই মুহূর্তে মাত্র তিনটি এ্যাম্বুলেন্স রয়েছে বলে জানালেন সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা।
এদিকে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জন্য দেয়া ভারতীয় সেই এ্যাম্বুলেন্সটি এখন ব্যবহার হচ্ছে নিরাপত্তা কর্মীদের আবাসন হিসেবে। অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি সব খুলে নেয়া হয়েছে এসব এ্যাম্বুলেন্স থেকে। বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এই মুহূর্তে সাতটি সাধারণ এ্যাম্বুলেন্স চলমান রয়েছে বলে জানালেন হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) ডাঃ মনিরুজ্জামান। তিনি বলেন, এ্যাম্বুলেন্স যথেষ্ট রয়েছে। কিন্তু চালকতো নেই। মাত্র তিনজন চালক আমাদের। এছাড়াও এই হাসপাতালের প্রধান সমস্যা দক্ষ লোকবল। দক্ষ লোকবল নিয়োগ না হলে কিছুই করার নেই আমাদের।
প্রায় একইকথা বললেন হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম মশিউল মুনীর। তিনি বলেন, এই হাসপাতালের পা থেকে মাথা পর্যন্ত পরিবর্তন প্রয়োজন। দক্ষ ও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত লোকবল নিয়োগ না হলে এই হাসপাতালের কোনোকিছুই ঠিক হবে না। কয়েকজন চিকিৎসক ছাড়া এখানে যারা কাজ করছেন, তারা বেশিরভাগ দায়সারা দায়িত্ব পালন করছেন বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।
https://slotbet.online/