বরিশালসহ গোটা দক্ষিণাঞ্চলে গত চারদিন যাবত লাগাতার বৃষ্টি হচ্ছে। হালকা ও মাঝারি বৃষ্টিতে নগরে জলবদ্ধতা হয়নি। তবে মঙ্গলবার দিবাগত গভীর রাতে টানা ভারি বৃষ্টিতে নগরীর বেশীরভাগ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ঘুম থেকে জেগে বসতবাড়ির চারদিকে শুধুই পানি দেখতে পান নগরের বেশীরভাগ মানুষ এতে নগরজীবনে চরম দূর্ভোগ নেমেছে।
বুধবার নগরের অন্যতম নবগ্রাম সড়কে গিয়ে দেখা যায়, সরকারি সৈয়দ হাতেম আলী কলেজ থেকে বটতলা বাজার পর্যন্ত দুই লেনের সড়কটি যেন একটি নদী। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাসা বাড়িতে পানি প্রবেশ করেছে। অলিগলিগুলো পানিতে ডুবে থাকায় বাসিন্দারা আছেন চরম ভোগান্তিতে। একই অবস্থা নগরের আরেকটি গুরুত্বপূর্ন সড়ক বগুরা রোড মুন্সীর গ্রেজ এলাকা, সরকারি বালিকা বিদ্যালয় এলাকা, নগরের নিম্নাঞ্চল হিসাবে পরিচিত সাগরদী ধান গবেষনা এলাকায় জিয়া সড়ক, পলাশপুর ভাটিখানাসহ বিভিন্ন এলাকাতে।
জানা গেছে, মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে অর্ধবার্ষিক পরীক্ষা চলছে। অনেক এলাকায় পানির মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে পৌছাতে হয়েছে। ব্যাটারিচালিত রিকশাচালক সালাম বলেন, ‘পানির কারণে সড়কে যানবাহন চালানো দুষ্কর হয়ে পড়েছে। পানি লেগে গাড়ি বিকল হয়ে যাচ্ছে। মোটরে পানি ঢুকে সমস্যা হওয়ায় তা সারাতে পকেট থেকে টাকা গুনতে হচ্ছে। তাছাড়া পানির কারণে রাস্তাঘাটে মানুষজনও কম, তাই আয়ও কমেছে’।
বরিশাল আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ আনিসুর রহমান বলেন, ‘বুধবার সকাল ৯টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘন্টায় ১৬০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। মৌসুমী বায়ু সক্রিয় থাকায় আরও কিছুদিন বৃষ্টি থাকবে’।
এছাড়া সকাল ৯টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘন্টায় পটুয়াখালীতে ১৫৩ মিলিমিটার ও বরগুনায় ১১৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের খবর পাওয়া গেছে। এসব জেলার শহরগুলোতে জলবদ্ধতার দেখা দিয়েছে।
পানি উন্নযন বোর্ডের জলানুসন্ধান বিভাগের উপ সহকারী প্রকৌশলী তাজুল ইসলাম বলেন, দক্ষিণাঞ্চলের সব নদীর পানি বিপদসীমার নিচে রয়েছে।
https://slotbet.online/