বরিশালের হিজলা উপজেলার হরিনাথপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তৌফিকুর রহমান দীর্ঘদিন ধরে অনুপস্থিত থাকায় ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম প্রায় অচল হয়ে পড়েছে। গত ৫ আগস্ট ২০২৪ থেকে আজ পর্যন্ত তিনি ইউনিয়ন অফিসে উপস্থিত হননি। তবুও তিনি সরকারি সকল সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতির ফলে জন্মনিবন্ধন, ওয়ারিশ সনদ, সরকারি ভাতা এবং বিভিন্ন নাগরিক সেবা কার্যত বন্ধ হয়ে গেছে। এতে করে সাধারণ মানুষ ব্যাপক দুর্ভোগে পড়েছেন।
একজন ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দা বলেন,
আমার বাবার মৃত্যুর পর ওয়ারিশ সনদ করতে গিয়ে দেখি চেয়ারম্যান অফিসে আসে না। মেম্বাররাও কিছু করছে না। আমরা কোথায় যাব?”
স্থানীয়দের অভিযোগ, চেয়ারম্যান তৌফিকুর রহমান অনলাইনে একটি কথিত “এমটিএফ (MTF)” নামক ব্যবসার মাধ্যমে ইউনিয়নের শতাধিক মানুষকে কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগে প্রলুব্ধ করেন এবং পরে প্রতারণার মাধ্যমে সেই অর্থ আত্মসাৎ করে আত্মগোপনে চলে যান। বিষয়টি জানাজানি হলেও থানায় কিংবা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনও কোনো দৃশ্যমান ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।
হিজলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইলিয়াস সিকদার জানান,
ধুলখোলা ইউনিয়নে অনুপস্থিত চেয়ারম্যানের স্থলে ইতোমধ্যে প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। হরিনাথপুর ইউনিয়নের পরিস্থিতিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। শিগগিরই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
স্থানীয়রা বলছেন, ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম সচল রাখতে হলে চেয়ারম্যানের পদ শূন্য ঘোষণা করে দ্রুত একজন প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া জরুরি। পলাতক চেয়ারম্যানের কারণে সরকারি সেবাবঞ্চনা যেমন বাড়ছে, তেমনি সরকারের জনসেবা নীতিও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
https://slotbet.online/