বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. শুচিতা শরমিনের অপসারণের দাবিতে আমরণ অনশনের মধ্যেই মহাসড়ক অবরোধ করেছে শিক্ষার্থীরা। আগে ঘোষণা কর্মসূচির অংশ হিসেবে মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৪টায় ববি ক্যাম্পাস সংলগ্ন বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করে তারা। এতে মহাসড়কের দুইপাশে অসংখ্য যানবাহন আটকে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ হয়। এদিকে সোমবার রাত থেকে ববির গ্রাউন্ড ফ্লোরে আমরণ অনশনে বসে ১১ শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে ৫ জন অসুস্থ হয়ে পড়েছে। শিক্ষার্থীদের ডাকা একাডেমিক ও প্রশাসনিক শাটডাউনের কারণে স্থবির অবস্থায় রয়েছে ববি। ২৯ দিন ধরে চলমান এ আন্দোলনে ইতিমধ্যে শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সংহতি জানিয়েছে। এর আগে মঙ্গলবার দুপুর ২টার মধ্যে উপাচার্যের অপসারণ না হলে দক্ষিণাঞ্চল অচল করে দেয়ার হুশিয়ারী দিয়েছিল আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
অনশনে অসুস্থ শিক্ষার্থীরা হলেন, ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের রবিউল ইসলাম, আইন বিভাগের ওয়াহিদুর রহমান ও শওকত ওসমান স্বাক্ষর, কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের রায়হান ও ইমন হাওলাদার।
শিক্ষার্থী সুজয় শুভ বলেন, উপাচার্যকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে। তিনি ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারছেন না। ২৯ দিন ধরে চলমান আন্দোলনের কোন পর্যায়ে তিনি শিক্ষার্থীদের সাথে যোগাযোগ করেননি। অথচ শেষ মুহূর্তে এসে সোমবার রাতে ফেসবুক লাইভে আসেন। আমাদের স্পষ্ট কথা তার মতন ফ্যাসিস্ট উপাচার্য আমরা চাই না। তাই তার অপসারণে অমরণ অনশনের পাশাপাশি মহাসড়ক অবরোধ করা হয়েছে। এসময় প্রাণের বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে দক্ষিণাঞ্চলবাসীর সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
অনশনরত শিক্ষার্থীদের একজন মোকাব্বেল শেখ বলেন, আমাদের যৌক্তিক দাবি আদায়ে আমরণ অনশনে বসেছি। দাবি আদায় না করে ঘরে ফিরবো না।
কলাপাড়ার বাসিন্দা ইয়াসিন মিয়া বলেন, বরিশালে কাজ শেষে বাড়ি ফিরতে বাসে উঠেছিলাম। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের রাস্তায় বন্ধ থাকায় গরমে চরম ভোগান্তি হচ্ছে। তাই দ্রুত এ সমস্যা সমাধানের দাবি জানান তিনি।
উল্লেখ্য, চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে অবস্থান, ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়কে মশাল মিছিল ও অবরোধ, ভিসি’র বাসভবনে তালা দেয়াসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে। এরই মধ্যে সোমবার শিক্ষার্থীদের ডাকা একাডেমিক ও প্রশাসনিক শাটডাউনে ববিতে অচলাবস্থা বিরাজ করছে। পরীক্ষা চললেও শিক্ষার্থীদের ক্লাস করতে দেখা যায়নি। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সংহতি জানিয়েছেন শিক্ষকরা। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একাংশও শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে যোগ দিয়েছে।
https://slotbet.online/