বরিশাল নগরীর আলেকান্দা সরকারি কলেজ সংস্কারের ১১ দফা দাবিতে বুধবার বেলা এগারোটায় প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি ও পরে আলেকান্দা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করেছে শিক্ষার্থীরা।
এসময় বিক্ষুব্ধরা “শিক্ষাবান্ধব ক্যাম্পাস চাই”, “ভবন সংস্কার করো”, “শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে দাও” শ্লোগান দিতে থাকেন। দ্রুত সময়ের মধ্যে শিক্ষার্থীদের উত্থাপিত ১১ দফা দাবি বাস্তবায়িত না হলে তারা অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাশ বর্জনসহ কঠোর কর্মসূচি ঘোষনা করবেন বলেও হুশিয়ারী দিয়েছেন।
বিক্ষোভ চলাকালীন শিক্ষার্থীদের পক্ষে আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক তৌহিদুল ইসলাম রোহান শিক্ষার্থীদের ১১ দফা দাবিসমূহ তুলে ধরেন। দাবিগুলো হলো-শিক্ষক সংকট দ্রুত দূর করা। বিদ্যমান আইসিটি ল্যাব সংস্কার ও আধুনিকীকরণ। কলেজ মাঠ সংস্কার ও শিক্ষার্থী-বান্ধবভাবে ব্যবহারযোগ্য করা। শ্রেণিকক্ষ সংকট নিরসনে নতুন ভবন নির্মাণ। মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত নিরাপদ ক্যাম্পাস নিশ্চিত করা। অপ্রয়োজনীয় ভবন ভেঙে ফুলের বাগানসহ পরিবেশবান্ধব প্রকল্প তৈরি। পর্যাপ্ত মাল্টিমিডিয়া ক্লাসের সুযোগ সৃষ্টি। বিজ্ঞানাগার (সায়েন্স ল্যাব) সংস্কার ও কার্যকর ব্যবহার নিশ্চিত করা। সহপাঠ কার্যক্রম জোরদারে উদ্যোগ গ্রহণ। ক্যাম্পাসে ক্যান্টিন চালু করা এবং ছাত্রাবাস নির্মান করা।
আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক তৌহিদুল ইসলাম রোহান বলেন, বিগত পাকিস্তান আমলের পুরোনো পলিটেকনিক ভবনকে নাম পরিবর্তন করে প্রথমে বরিশাল কমার্সিয়াল কলেজ করা হয়। পরবর্তীতে ২০১৬ সালে এটি আলেকান্দা সরকারি কলেজ হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হলেও অবকাঠামোগত ভাবে কোনো উন্নয়ন হয়নি। ২০২৩ সালে ভবনের সিলিং ভেঙে পরে শিক্ষার্থীরা আহত হওয়ার পরেও ভবনের কোনো সংস্কার করা হয়নি। তিনি আরও বলেন, আমাদের ১১ দফা দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। প্রয়োজনে আমরা অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস বর্জন কর্মসূচি পালন করবো।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন-এই আন্দোলনের উদ্দেশ্য কোনো রাজনৈতিক নয়; বরং কলেজের শিক্ষা ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন নিশ্চিত করা। আমরা আশা করছি সংশ্লিষ্ট প্রশাসন দ্রুত সময়ের মধ্যে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করে কলেজটিকে একটি সত্যিকারের শিক্ষাবান্ধব পরিবেশে পরিণত করবে।
https://slotbet.online/