ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি ও মা ইলিশ সংরক্ষণের লক্ষ্যে শুক্রবার (৩ অক্টোবর) মধ্যরাত থেকে শুরু হয়েছে নদী ও সাগরে টানা ২২ দিনের মাছ ধরা নিষেধাজ্ঞা। এতে কর্মহীন হয়ে পড়েছে উপকূলীয় দ্বীপ জেলা ভোলার ২ লাখেরও বেশি জেলে।
শুক্রবার দুপুরে দেখা যায়, মেঘনা-তেঁতুলিয়া নদী ও সাগর মোহনা থেকে জেলেদের ট্রলার ও নৌকা ভিড়ছে ভোলার বিভিন্ন মাছঘাটে। জেলেরা জাল গুছিয়ে ঘরে ফিরছেন। তবে তারা বলছেন, শুধু মা ইলিশ রক্ষাই যথেষ্ট নয়—এ সময় সরকারকে জেলেদের পাশে দাঁড়াতে হবে। সরকারি বরাদ্দকৃত চালে সংসার চালানো সম্ভব নয়; নগদ অর্থ সহায়তাও প্রয়োজন। পাশাপাশি এনজিওগুলোর কিস্তি আদায় সাময়িক বন্ধ রাখার দাবিও জানিয়েছেন তারা।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন জানান, নিষেধাজ্ঞা সফল করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। কর্মহীন জেলেদের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৩ হাজার ৫৮৫ মেট্রিক টন চাল। এতে ১ লাখ ৪৩ হাজার ৪৩৮ জেলে পরিবারকে ২৫ কেজি করে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হবে।
অন্যদিকে, মা ইলিশ রক্ষা অভিযানের প্রথম দিনেই ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার কুঞ্জেরহাট বাজারে অভিযান চালায় উপজেলা প্রশাসন। এ সময় ৮৫ কেজি ইলিশ জব্দ করা হয় এবং তিনজনকে আটক করে মৎস্য সুরক্ষা ও সংরক্ষণ আইন ১৯৫০ এর সংশ্লিষ্ট ধারায় প্রত্যেককে ৫ হাজার টাকা করে মোট ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জব্দকৃত মাছ স্থানীয় ৬টি মাদ্রাসা ও এতিমখানায় বিতরণ করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রায়হান-উজ্জামান জানান, জনস্বার্থে মা ইলিশ রক্ষা অভিযানে নিয়মিত অভিযান অব্যাহত থাকবে।
https://slotbet.online/