পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে আবারও ভেসে এসেছে একটি মৃত ডলফিন। শনিবার দুপুরের পরে গঙ্গামতি সৈকত এলাকায় প্রায় ১০ ফুট দৈর্ঘ্যের ইরাবতী প্রজাতির ডলফিনটি স্থানীয় ট্যুর গাইডরা প্রথম দেখতে পান। ডলফিনটির মাথা ও শরীরে একাধিক ক্ষতচিহ্ন রয়েছে, বিভিন্ন স্থানের চামড়াও উঠে গেছে।
উপরা’র আহ্বায়ক কে এম বাচ্চু জানান, খবর পাওয়ার পরপরই সংগঠনের সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং বন বিভাগকে বিষয়টি অবহিত করেন। তাঁর ধারণা, এটি ভোরের জোয়ারে সৈকতে ভেসে আসে। ইরাবতী প্রজাতির এ ডলফিন সাধারণত বঙ্গোপসাগরের মোহনা ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সমুদ্র উপকূলে দেখা যায়।
কুয়াকাটা ডলফিন রক্ষা কমিটির টিম লিডার রুমান ইমতিয়াজ তুষার বলেন, “চলতি বছরেই এখন পর্যন্ত অন্তত ১০টি ডলফিনের মৃতদেহ এ উপকূলীয় এলাকায় ভেসে এসেছে। স্থানীয় পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো সচেতনতার সঙ্গে কাজ করছে, তবে আমরা চাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এই মৃত্যুর সঠিক কারণ অনুসন্ধান করুক।
বাংলাদেশ মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী গবেষক (সিফ্যাচ) সাগরিকা স্মৃতি জানান, বর্ষা মৌসুমে মৃত ডলফিন ভেসে আসা একটি পরিচিত ঘটনা। তাঁর মতে, উন্নত বিশ্বগুলোর মতো আমাদেরও সামুদ্রিক প্রাণী সংরক্ষণে আরও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন ২০১২ অনুযায়ী ডলফিন সংরক্ষণ রাষ্ট্রের দায়িত্ব।
বন বিভাগের মহিপুর রেঞ্জ কর্মকর্তা কেএম মনিরুজ্জামান বলেন, “খবর পাওয়ার পর আমরা দ্রুত ডলফিনটির মৃতদেহ মাটিচাপা দেওয়ার ব্যবস্থা করি, যাতে দুর্গন্ধ ছড়াতে না পারে।
স্থানীয়রা জানান, একের পর এক ডলফিনের মৃতদেহ ভেসে আসা উপকূলীয় জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকির ইঙ্গিত দিচ্ছে। এ নিয়ে এখনই কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে ভবিষ্যতে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে।
এ রকম আরো সংবাদ...