প্রেস রিলিজ সূত্রে আরও জানা যায়, ঘটনার দিন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কুয়াকাটা পুলিশ বক্সের ১০০ গজের মধ্যে আইনজীবীকে হত্যা চেষ্টায় উপর্যুপরি কুপিয়ে জখম করে সন্ত্রাসীরা। এসময় পুলিশ অদূরে দাড়িয়ে থেকে এগিয়ে না এলেও পর্যটকরা তাকে উদ্ধার করে। ভিকটিম অ্যাডভোকেট আনোয়ার হোসাইন তার দায়েরকৃত জিআর-১৩৫/২৫ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা অভিযুক্ত এসআই স্বজলের আমন্ত্রনে মহিপুর গেলে তিনি কুয়াকাটায় আছেন বলে জানান। পরবর্তীতে কুয়াকাটায় পৌঁছালে মামলার আসামী হারুন মৃধা, ইউসুফ মৃধা সহ ১০/১৫ জনের সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসীরা তাকে হত্যা চেষ্টায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথারি ভাবে কুপিয়ে ও লোহার রড-হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। এ ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতারে ৪৮ ঘন্টার আলটিমটোম দেয় আইনজীবী সমিতি। ভিকটিম আইনজীবীকে চিকিৎসা ও আইনী সহায়তা দেয়ার সিদ্ধান্ত হয় অনুষ্ঠিত জরুরী সভায়। এছাড়া অভিযুক্তদের আইনী সহায়তা প্রদান না করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয় বলে জানা যায়।
প্রসংগত, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কুয়াকাটা জিরো পয়েন্টের পষ্চিম পাশে আইনজীবী আনোয়ারকে হত্যা চেষ্টায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথারি ভাবে কুপিয়ে ও লোহার রড-হাতুড়ি দিয়ে অতর্কিত হামলা করে সন্ত্রাসীরা। এতে আনোয়ারের বাম চোখ, কপোল সহ শরীরের বিভিন্ন স্থান গুরুতর কাটা জখম হয়। ঘটনার পর পর আইনজীবী আনোয়ারকে আশংকাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়। বর্তমানে আনোয়ার বরিশাল চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আহত আইনজীবী আনোয়ার হোসাইন’র দাবী, তার মালিকানাধীন মাছের ঘেরে লুটপাট ও ভাঙচুরের ঘটনায় তিনি একমাস আগে কলাপাড়া বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। আদালত মহিপুর থানাকে এজাহার গ্রহনের নির্দেশ দেন। মামলার আসামীদের সাথে তদন্ত কর্মকর্তার সখ্যতায় তারা গ্রেফতার এড়িয়ে তার উপর নৃশংশ এ হামলা চালায়।
এ বিষয়ে মহিপুর থানার ওসি মাহমুদ হাসান বলেন, ‘এখন পর্যন্ত লিখিত অভিযোগ পাইনি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়া এসআই স্বজলের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগের বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহন করা কবে।
https://slotbet.online/