পিআর বা সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতির নির্বাচন আগামী দিনের রাজনীতির জন্য ভয়ঙ্কর হতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। মঙ্গলবার রাজধানীর গুলশানে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন এই দেশে সম্ভব নয়। রাজনৈতিক হীন উদ্দেশ্যে বা কিছু আসন বেশি পেতে পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন, আগামী দিনের রাজনীতির জন্য ভয়ঙ্কর হতে পারে।
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আগামী জাতীয় নির্বাচন বিলম্বিত বা বাধাগ্রস্ত করার যেকোনো ষড়যন্ত্র জনগণ প্রত্যাখ্যান করবে। ঐকমত্য কমিশনের সূচিতে নিম্নকক্ষে পিআর পদ্ধতির প্রস্তাব না থাকলেও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে কেউ আন্দোলনে নামলে রাজনৈতিকভাবেই তা মোকাবেলা করবে বিএনপি।’
আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। নির্বাচন কমিশনও সে অনুযায়ী প্রস্তুতি সারছে।
নির্বাচন কোন পদ্ধতিতে হবে তা নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মত পার্থক্য আছে। জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন, জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ (এনসিপি) কয়েকটি রাজনৈতিক দল সংসদের উভয় কক্ষেই পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চায়। কিন্তু বিএনপিসহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল এর বিরোধিতা করে চলমান পদ্ধতিতেই নির্বাচন চায়।
পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবিতে তিনদিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে জামায়াত। দলটির নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ তাহের সোমবার জানান, আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকায় সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল, ১৯ সেপ্টেম্বর সকল বিভাগীয় শহরে বিক্ষোভ মিছিল এবং ২৬ সেপ্টেম্বর জেলা-উপজেলা পর্যায়ে বিক্ষোভ মিছিল করবে জামায়াতে ইসলামী।
সৈয়দ আবদুল্লাহ তাহের বলেন, ‘২৫টি রাজনৈতিক দল পিআরের পক্ষে। যারা পিআর চায় তাদের সাথে যোগাযোগ করছে জামায়াতে ইসলামী। সরকার যদি এটা না মানে তবে আন্দোলনে যাবে জামায়াত।’
ব্রিফিংয়ে সালাহউদ্দিন আহমেদ আরও জানান, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা তৈরি না হলে সাংবিধানিক শূন্যতা সৃষ্টি হবে। এতে বৈশ্বিক শক্তি ও ফ্যাসিবাদী শক্তি সুযোগ নেবে।
জাতীয় পার্টি ও ১৪ দল নিষিদ্ধ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘কোনো রাজনৈতিক দলকে নির্বাহী আদেশে নিষিদ্ধ করা বিএনপি সমর্থন করে না। নির্বাহী আদেশে কোনো দল নিষিদ্ধ হলে এর পরিণতি ভালো হবে না।
https://slotbet.online/