বরগুনায় আবারও বেড়েছে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা। গত ১০ দিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে জেলার বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৪৩০ জন রোগী। চলতি বছরে এই জেলায় ডেঙ্গুতে প্রাণ হারিয়েছেন ৪৫ জন। স্থানীয়দের অভিযোগ, ডেঙ্গু সংক্রমণের মৌসুম হলেও মশা নিধনে নেই প্রশাসনের কার্যকর উদ্যোগ। জেলা সিভিল সার্জন বলছেন, অক্টোবর পর্যন্ত ডেঙ্গুর প্রধান মৌসুম চলবে, তাই এখনই জনগণকে সচেতন হতে হবে।
চলতি বছরে দেশে সর্বপ্রথম ডেঙ্গুর হটস্পট ঘোষণা করা হয় বরগুনাকে। এখন পর্যন্ত এখানে শনাক্ত হয়েছে ৬ হাজার ২৫৭ জন রোগী। আর ডেঙ্গুতে প্রাণ হারিয়েছেন ৪৫ জন।
গত মাসের শুরুর দিকে ডেঙ্গু সংক্রমণ কমলেও আবারও ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণের হার। উপকূলের এসব রোগীর চিকিৎসার ভরসা জেলার সরকারি হাসপাতালগুলো।
তবে হাসপাতালে আসা ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর স্বজনেরা জানান, হাসপাতাল থেকে স্যালাইন ও প্যারাসিটামল ছাড়া অন্য কোনো ওষুধ পাচ্ছেন না রোগীরা। ফলে ফার্মেসি থেকে কিনে নিতে হচ্ছে বেশিরভাগ ওষুধ। এতে চাপে পড়েছে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবার।
এদিকে স্থানীয়রা অভিযোগ করছেন, ডেঙ্গু মহামারী আকার ধারণ করলেও শুরু থেকেই মশা নিধনে প্রশাসনের কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেই। শুরুর দিকে কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন উদ্যোগ নিলেও এখন আর তাদের কোনো কার্যক্রম দেখা যাচ্ছে না।
এ নিয়ে বরগুনা ২৫০ শয্যা হাসপাতালের আরএমও ডা. তাসকিয়া সিদ্দিকী বলেন, গত মাসের শুরুর দিকে ডেঙ্গু সংক্রমণ কমলেও আবারও ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণের হার। রোগীদের সেবায় হাসপাতালে বাজেট সংকট থাকায় পর্যাপ্ত ওষুধ সরবরাহ সম্ভব হচ্ছে না। তবে বাজেট পেলে ওষুধ সংকটের সমাধান করা যেতে পারে।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে জনসচেতনতার ওপর গুরুত্ব দেন বরগুনা জেলা সিভিল সার্জন মোহাম্মাদ আবুল ফাত্তাহ। তিনি বলেন, বাসা-বাড়ির আঙিনা পরিষ্কার রাখতে হবে এবং যেখানে এডিস মশার জন্ম হতে পারে সেসব স্থান ধ্বংস করতে হবে।
https://slotbet.online/