অব্যাহত ভাঙন, যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা, সৈকতের জিরো পয়েন্টে জিও টিউব ব্যাগ ও বিভিন্ন স্পটে পড়ে থাকা মরা গাছে দিন দিন বিবর্ণ হচ্ছে কুয়াকাটা, হারাচ্ছে পর্যটক আকর্ষণ।
সৌন্দর্য হারাচ্ছে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্র সৈকত, কুয়াকাটা। সূর্যাস্ত-সূর্যোদয় দেখতে এখানে প্রতিদিনই দেশ-বিদেশ থেকে ছুঁটে আসেন হাজারো পর্যটক। কিন্তু অব্যাহত ভাঙন, যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা, সৈকতের জিরো পয়েন্টে জিও টিউব ব্যাগ ও বিভিন্ন স্পটে পড়ে থাকা মরা গাছে দিন দিন বিবর্ণ হচ্ছে কুয়াকাটা, হারাচ্ছে পর্যটক আকর্ষণ।
এছাড়া সৈকতে যেখানে সেখানে ফেলে রাখা হচ্ছে মাছ ধরার নৌকা, ছেঁড়া জাল, মাছ ধরার সরঞ্জাম, ভাসমান দোকানের বর্জ্য, যা পর্যটকদের চলাচলে বিঘ্ন ঘটাচ্ছে। আর জালের সঙ্গে থাকা উচ্ছিষ্ট পঁচা মাছ থেকে ছড়াচ্ছে দূর্গন্ধ। অস্থায়ী দোকানগুলোর খাবারের প্যাকেট ও খালি বোতল ফেলে সৈকতকে পরিণত করেছে ময়লার ভাগাড়ে।
সরেজমিনে দেখা যায়, সৈকতের বুকজুড়ে গড়ে উঠেছে অস্থায়ী নানা ধরনের দোকানপাট। এসব দোকানের ময়লা সৈকতের তীরে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ফেলে রাখা হয়েছে। আগত পর্যটকদের সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, অপরিকল্পিতভাবে পরিচালিত হচ্ছে কুয়াকাটা সৈকত। বীচে পড়া থাকা ময়লা-আর্বজনার দূর্গন্ধে সৈকতে হাঁটা যায় না। যেন আনন্দর চেয়ে দূর্ভোগটাই বেশি। কুয়াকাটাকে নতুন আঙ্গিকে সাজিয়ে তোলার দাবি জানিয়েছেন তারা।
এ বিষয়ে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ও বীচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য সচিব ইয়াসীন সাদিক জানান, কুয়াকাটা সৈকতের সৌন্দর্য পুনরুদ্ধার ও পর্যটকবান্ধব পরিবেশ ফিরিয়ে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম হাতে নেয়া হবে। যথাযথ পদক্ষেপ নেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক ও বীচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সভাপতি আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফিন।
https://slotbet.online/