• সোমবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৭:১৪ অপরাহ্ন

টানা পাঁচদিন বরিশাল টেক্সটাইল কলেজে শাটডাউন

স্টাফ রিপোর্টার / ২৬ পড়া হয়েছে
প্রকাশিত : বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই, ২০২৫

পর্যাপ্ত শিক্ষক নিয়োগ, ল্যাব আধুনিকায়ন ও একাডেমিক পরিবেশ উন্নয়নের দাবিতে বরিশাল টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে টানা পাঁচদিন ধরে চলছে অনির্দিষ্টকালের শাটডাউন।

বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) আন্দোলনের পঞ্চম দিনে প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে ক্লাস-পরীক্ষা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ ঘোষণা করেছে শিক্ষার্থীরা। সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে আয়োজিত এ আন্দোলনে শত শত শিক্ষার্থী অংশ নেয়, যা এখন বিক্ষোভে উত্তাল রূপ নিয়েছে।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, দীর্ঘ ১৯ বছর ধরে তারা শিক্ষক সংকট, ল্যাব ও অবকাঠামোর দুরবস্থা এবং একাডেমিক বিশৃঙ্খলায় ভুগছেন। বারবার আশ্বাসের শুধু পড়েও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি বস্ত্র অধিদপ্তর। এবার তারা আশ্বাস নয়, বাস্তব পরিবর্তন দেখতে চান। আন্দোলনের অংশ হিসেবে শিক্ষার্থীরা প্রতীকী প্রতিবাদে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের কুশপুত্তলিকা দাহ করেন।

তারা বলেন, গত বছরও শিক্ষক নিয়োগের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু বাস্তবে কিছুই হয়নি। সর্বশেষ ২২ জুলাই অনুষ্ঠিত বুটেক্স, বস্ত্র অধিদপ্তর ও অধিভুক্ত কলেজের ত্রিপক্ষীয় সভায় গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও বাস্তবায়নে দেখা গেছে চরম গড়িমসি। তাই এবার লিখিত আশ্বাসেও আস্থা রাখতে চাইছে না শিক্ষার্থীরা।

শুধু বরিশাল নয়, এই আন্দোলনের ঢেউ পৌঁছে গেছে বুটেক্সের অধিভুক্ত দেশের আরও আটটি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে। শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, দাবিগুলোর বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন, প্রয়োজনে বস্ত্র অধিদপ্তর ঘেরাওও করা হবে।

শিক্ষার্থীদের সাত দফা দাবি:
১. অবিলম্বে পর্যাপ্ত শিক্ষক নিয়োগ ও ল্যাব রক্ষণাবেক্ষণের জন্য জনবল নিয়োগ
২. তিন কর্মদিবসের মধ্যে সংশোধিত নিয়োগবিধি অনুমোদন
৩. ত্রিপক্ষীয় সভার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে ব্যর্থ হলে সংশ্লিষ্টদের অপসারণের নিশ্চয়তা
৪. আদর্শ কাঠামো অনুযায়ী অধিভুক্তি নবায়ন
৫. নির্ধারিত একাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুসারে ক্লাস, পরীক্ষা ও ফলাফল প্রকাশ
৬. কলেজসমূহে পর্যাপ্ত বাজেট বরাদ্দ
৭. সাপ্লিমেন্টারি পরীক্ষা চালু ও রি-টেক ফি কমানো

এ বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষ ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুল কাদের বেপারী বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো যৌক্তিক। আমরা বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করছি এবং দ্রুত বাস্তবায়নের চেষ্টা করা হবে।

শিক্ষার্থীদের এ ন্যায্য আন্দোলন যদি দ্রুত সমাধানে না আসে, তবে তা সারাদেশে টেক্সটাইল শিক্ষাব্যবস্থার প্রতি আস্থার সংকট তৈরি করতে পারে এমনটাই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ রকম আরো সংবাদ...
https://slotbet.online/