• শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫, ০১:২৭ অপরাহ্ন

বাউফলে বিরামহীন বৃষ্টিতে দূর্ভোগ

হারুন আর রশিদ,বাউফল / ৫৩ পড়া হয়েছে
প্রকাশিত : মঙ্গলবার, ৮ জুলাই, ২০২৫

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় গত সাত দিন ধরে বিরামহীন বৃষ্টিতে জনদুর্ভোগ বেড়েছে। বৃষ্টির কারণে অধিকাংশ বিদ্যালয়ের মাঠে পানি জমে গেছে। উপস্থিতি কমেছে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের। রাস্তাঘাট-হাটবাজারে পানি জমে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। শ্রমজীবি মানুষ বের হতে না পেড়ে বিপাকে পড়েছেন। মানুষ খুব জরুরী প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বরে হচ্ছেন না। অফিস পাড়া চলছে ঢিলেতালে। দোকানপাট গুলো খুলেছে নিত্য দিনের চেয়ে অনেক দেরিতে। খাল ও নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে নিন্মাঞ্চল ডুবে গেছে। বিশেষ করে চরাঞ্চল মানুষ কষ্টে দিন পাড় করছেন।
উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের নাজিরপুর বোর্ড সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তাসলিমা বেগম বলেন, টানা কয়েক দিনের বৃষ্টির কারণে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের সংখ্যা নেই বললেই চলে। মাঠে পানি জমে গেছে। পানি না কমলে দুর্ভোগ আরো বাড়বে। পূজা কর্মকার নামে এক অভিবাবক বলেন, মুষলধারে বৃষ্টির কারণে শিশু শ্রেণিতে পড়–য়া তার মেয়ে শ্রীময়ীকে বিদ্যালয়েতে পাঠাননি। চরবেষ্টিত চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের চরঅডেল গ্রামের কৃষক হাসেম ফরাজি বলেন, কয়েক দিনের বৃষ্টির কারণে কোলা-বিল ডুবে বসত ঘরের মধ্যে পানি ঢুকে দুর্ভোগ বেড়েছে। দাসপাড়া গ্রামের কৃষক জাকির হোসেন বলেন, ১৫দিন আগে ৭মন বীজের আমন বীজতলা করেছিলাম। এর আগের বৃষ্টিতে তলিয়ে যাওয়ার কারণে আবারো ৫মন বীজতলা করলে সম্প্রতী বৃষ্টির পানিতে তাও তলিয়ে গেছে। কালাইয়া বন্দরের রিক্সা চালক হোসেন মোল্লা বলেন, রিক্সা নিয়ে বের হই ঠিকই কিন্ত রাস্তা ঘাটে কোন লোকজন না থাকায় গত সাত দিন ধরে কোন কামাই নাই। ধার দেনা করে চলতে হচ্ছে। দাসপাড়ার চৌমোহনী গ্রামের জাকির হোসেন বলেন, তার চারটি মাছের ঘের। ঘেরে পানি বেড়ে যাওয়ায় নেট-জাল দিয়ে চারপাশে আটকিয়ে মাছ রক্ষার চেষ্টা করছেন।
উপজেলার মৎস কর্মকর্তা মাহবুব আলম তালুকদার বলেন, অতি বৃষ্টির কারণে নিম্মাঞ্চল  প্লাবিত হওয়ার খবর জেনেছি। মাছ চাষিদের ঘের রক্ষা করার জন্য আগে থেকেই নেট-জাল কিনে সংরক্ষন করার জন্য বলা হয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মিলন বলেন, বিরামহীন বৃষ্টিার কারণে সবচেয়ে ক্ষতি হবে আমন বীজ তলার। তবে কি পরিমান ক্ষয় ক্ষতি হবে তা বৃষ্টিার প্রভাব না কমলে হিসাব করা যাবে না। কৃষক ভাইদের বলা হয়েছে, বীজতলা যতটা সম্ভব অপেক্ষাকৃত উচু স্থানে করতে। তবে পানি দ্রুত নেমে গেলে বীজৈর কোন সংকট হবে না বলে আমার বিশ্বাষ।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ রকম আরো সংবাদ...
https://slotbet.online/