সৈয়দ মোহাম্মাদ রেজাউল করীম ( পীর সাহেব চরমোনাই) এর কথা বলছি। সত্যি তিনি যেন বিনয়- নম্রতার মূর্তপ্রতিক হিসাবে আবির্ভূত হয়েছেন। বিনয় কাকে বলে সেটা তাঁর কাছ থেকে শেখার আছে। যিনি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের অগ্রসেনানী, এদেশের লক্ষ- কোটি জনতার আধ্যাত্মিক রাহবার, রাজনীতির ময়দানের অন্যতম সিপাহসালার, যার ডাকে ঢাকা শহরে লক্ষ লক্ষ মানুষ জমা হয়, বাংলাদেশের টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া রুপসা থেকে পাথুরিয়া যার অসম্ভব জনপ্রিয়তা, এদেশের ইসলামী রাজনীতির অন্যতম মুখপাত্র, যার প্রতি সর্বস্তরের রাজনীতিবিদদের অকুন্ঠ সমর্থন রয়েছে, সেই মহান ব্যক্তির বিনয়, – নম্রতা দেখলে মাথা নুইয়ে যায়। ভক্তি – শ্রদ্ধায় তাকে সিক্ত করতে মনেচায়।
মুফতি সৈয়দ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই, তিনি কোন সাধারণ ব্যক্তি নয়, তাছাড়া কোন ভুইফোঁড় সংগঠন এর নেতা তিনি নন। এদেশের মাটি মানুষের সাথে তাঁর দলের সম্পর্ক রয়েছে। যারা সারাটা বছর মানুষের কল্যাণে, দেশ ও জাতির উন্নতি কল্পে রাজনীতি করে থাকেন। সেই ব্যক্তির আদর্শ আসলেই অনুসরনীয়। হুবহু পেয়ারা হাবীব সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর আদর্শ তিনি অনুসরণ – অনুকরণ করে যাচ্ছেন।
পীর সাহেব চরমোনাইকে এর আগেও দেখা গেছে তিনি অত্যন্ত বিনয়ী। নিজেকে গোপন করে রাখতে চান। নিজের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে অন্যকে প্রাধান্য দেন। নিজের থেকে ওলামা মাশায়েখ ও অন্যান্য রাজনীতিবিদদের প্রতি তাঁর সবচেয়ে বেশী ভক্তি- ভালবাসা।
গতকাল তো এক আজব বিষয় দেখলাম। তাঁর এমন আখলাক সকলেরই মন জয় করে নিয়েছে। তিনি যেন সর্বস্তরের উলামা মাশায়েখ ও রাজনীতিবিদদের অন্তরে জায়গা করে নিয়েছেন। সকলেই এক বাক্যে বলছে, আসলে পীর সাহেব চরমোনাই অত্যন্ত ভদ্র ও বিনয়ী ব্যক্তিত্ব।
প্রধান উপদেষ্টা এর পদত্যাগ এর সুর যখনই উঠল, তখনই তিনি সব দলের রাজনীতিবিদদের সাথে জরুরী বৈঠক করেন। তিনি ছিলেন সকলেরই মুরুব্বী এর ভূমিকায়। সকলেরই ছারেতাজ হিসাবে কাজ করে যাচ্ছিলেন, তাছাড়া তাঁর সংগঠন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ একটি গ্রহণযোগ্য সংগঠন হিসাবে প্রধান উপদেষ্টার সাথে বিশেষ সাক্ষাতের অনুমতি পেয়েছিল। কিন্তু পীর সাহেব চরমোনাই এর বিনয় – নম্রতা দেখুন, তিনি সেই ষ্পেশাল প্রোগ্রামে নিজের দল নিয়ে যান নি। তিনি গিয়েছেন সকল ইসলামী দলের নেতাদের নিয়ে।
পীর চরমোনাই এর আরো কিছু বিনয় – নম্রতা সকলকে হতবাক করেছে, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাতের পরে প্রেসব্রিফিং – এ অন্যান্য ইসলামী দলের নেতাদের বেশী প্রাধান্য দিয়েছেন, তাদেরকেই সুযোগ করে দিয়েছেন কথা বলার। আবার প্রধান উপদেষ্টার সাথে ফটোসেশনেও তাকে দেখলাম, এক কোণে দাঁড়িয়ে আছেন, অথচ সবকিছুর মুূলে পীর সাহেব চরমোনাই এর সবচেয়ে বেশী অবদান বলা যায়, তারপরেও তিনি যেন নিজেকে গোপন করে রাখতে চান।
আসলে একজন আলেম, পীর ও ইসলামী আন্দোলনের নেতার এমন গুণ প্রশংসনীয়। যারা ইসলামী রাজনীতি করেন তাদের জন্য পীর সাহেব চরমোনাইকে মডেল বলা যায়। প্রতিটি নেতার এমন নববী আখলাক জরুরী। তাহলে ইসলামী রাজনীতি আরো এগিয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ।
আল্লাহ তায়ালা পীর সাহেব চরমোনাই সহ সকলকে কবুল করুন। আমিন।
https://slotbet.online/