হজ ইসলাম ধর্মের পঞ্চ স্তম্ভের অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। এটি প্রতিটি সক্ষম মুসলমানের ওপর জীবনে একবার ফরজ। যেহেতু হজ একটি শারীরিক, মানসিক এবং আধ্যাত্মিক পরিশ্রমের ইবাদত, তাই এই মহান দায়িত্ব পালনের পূর্বে সঠিক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরি।
হজের প্রতিটি আমল নির্দিষ্ট নিয়মে ও শর্তে পালন করতে হয়, যাতে কোনো ভুল হলে ইবাদত অসম্পূর্ণ বা বাতিল হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে হজ প্রশিক্ষণ শুধু প্রয়োজনই নয়, বরং এটি একটি অপরিহার্য কাজ।
হজের প্রশিক্ষণ একজন হাজীর জন্য পথপ্রদর্শক হিসেবে কাজ করে। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে একজন হজযাত্রী হজের ফরজ, ওয়াজিব, সুন্নত ও মুস্তাহাব কাজগুলো সঠিকভাবে জানতে পারেন। ইহরাম পরিধান, তালবিয়া পাঠ, তাওয়াফ, সাঈ, আরাফা, মুজদালিফা, মিনায় অবস্থান, শয়তানে পাথর নিক্ষেপ, কুরবানি ও হালক বা কসর, প্রতিটি ধাপে রয়েছে নির্দিষ্ট নিয়ম ও সময়। এই নিয়মগুলো অজানা থাকলে অনেকেই বিভ্রান্তিতে পড়েন। বিশেষ করে যারা প্রথমবার হজে যাচ্ছেন, তাদের জন্য এ প্রশিক্ষণ জীবন রক্ষাকারী হতে পারে।
এছাড়া হজে ভিড়, দীর্ঘ হাঁটা, গরম আবহাওয়া এবং অসুবিধাজনক পরিবেশে ধৈর্য ধরার প্রয়োজন হয়। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে মানসিক প্রস্তুতি যেমন গড়ে ওঠে, তেমনি শারীরিক সক্ষমতা ও পরিকল্পনা তৈরির সুযোগও পাওয়া যায়। দিকনির্দেশনা, স্থানচিন্তা, সময় মেনে চলা, দলগতভাবে চলাফেরা করা—এসব বিষয় প্রশিক্ষণ ছাড়া শেখা কঠিন।
সঠিক জ্ঞান ও প্রস্তুতি ছাড়া হজের মতো গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত যথাযথভাবে সম্পাদন করা কঠিন। হজ প্রশিক্ষণ একজন হজযাত্রীর আত্মবিশ্বাস ও জ্ঞানের জোর বাড়িয়ে দেয়, যাতে তিনি ইবাদতকে সুন্দর ও নিখুঁতভাবে আদায় করতে পারেন। এজন্য প্রত্যেক হজযাত্রীর উচিত হজে যাওয়ার পূর্বে নির্ভরযোগ্য প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে গিয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করা। এতে হজের আমলগুলো যেমন সঠিকভাবে আদায় হবে, তেমনি সামগ্রিক হজ ব্যবস্থাপনাও হবে আরও শৃঙ্খলাপূর্ণ ও ফলপ্রসূ।
এ রকম আরো সংবাদ...