পটুয়াখালীর মহিপুর–আলিপুর এলাকায় অনুমোদন ও পরিবেশগত ছাড়পত্র ছাড়াই গড়ে উঠেছে শত শত বরফকল। অ্যামোনিয়া গ্যাসভিত্তিক এসব কারখানায় নিরাপত্তা না থাকায় স্বাস্থ্য ও পরিবেশ মারাত্মক ঝুঁকিতে পড়েছে।
পটুয়াখালীতে গড়ে উঠেছে অনুমোদনহীন শত শত বরফকল। স্থানীয়রা বলছেন, আবাসিক এলাকায় পরিবেশগত ছাড়পত্র ও পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছাড়াই এসব কল নির্মাণের কারণে ঝুঁকিতে স্বাস্থ্য ও পরিবেশ। সম্প্রতি একটি বরফকলে দুর্ঘটনায় কয়েকজন আহতের পর উদ্বেগ আরও বেড়েছে। শিগগিরই এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন।
পটুয়াখালীর মহিপুরে সম্প্রতি গাজী আইস প্ল্যান্টে কর্নেসার পাইপ লিকেজের কারণে ছড়িয়ে পড়ে অ্যামোনিয়া গ্যাস। এতে অসুস্থ হয়ে পড়েন অন্তত ২০ জন।
হাজার হাজার টন মাছ সংরক্ষণে মহিপুর-আলিপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র ঘিরে গড়ে উঠেছে শতাধিক বরফকল। পরিবেশবাদী সংগঠন ধরিত্রী রক্ষায় আমরা পটুয়াখালীর পরিবেশ কর্মী মেজবাহ উদ্দিন মাননু বলছেন, বাজার, স্কুল–কলেজ ও ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় হওয়ায় স্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য হয়ে উঠেছে মারাত্মক হুমকি।
ছাড়পত্র বা অনুমোদন ছাড়াই জনবসতিপূর্ণ এলাকায় অ্যামোনিয়া গ্যাসভিত্তিক বরফকল নির্মাণ নিয়ে দায়সারা উত্তর দিয়েছেন পটুয়াখালী পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক লোভানা জামিল।
আর পটুয়াখালীর কলাপাড়া ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সাব-অফিসার আবুল হোসেন বলছেন, দুর্ঘটনায় সুরক্ষার জন্য নেই কোনো ব্যবস্থা।
পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাউছার হামিদ বলেন, অবৈধভাবে একের পর এক কল গড়ে উঠলেও অনেকটাই নিশ্চুপ প্রশাসন। তবে এবার আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
https://slotbet.online/