আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরিশাল ৩ (মুলাদী-বাবুগঞ্জ) আসনে বিএনপি’র তৃণমূল নেতাকর্মীদের পছন্দের শীর্ষ আছেন মুলাদী উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি, বরিশাল উত্তর জেলা বিএনপি সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক, উত্তর জেলা বিএনপির এক নম্বর সদস্য ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুস ছাত্তার খান।
মুলাদীর সম্ভ্রান্ত মুসলিম ও রাজনৈতিক পরিবারের আব্দুস ছাত্তার খান। তিনি স্কুল জীবন থেকে ছাত্র রাজনীতির সাথে জড়িত।
এলাকাবাসীর স্বপ্ন পূরণে তিনি বিএনপি’র মনোনয়ন প্রত্যাশায় নিজের প্রার্থিতা ঘোষণা করেছেন। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে মুলাদী-বাবুগঞ্জের পিছিয়ে পড়া এলাকাবাসীর মাঝে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে সংসদ সদস্য পদে নিজের প্রার্থিতা ঘোষণা করেছেন। নিজের আদর্শ, মেধা ও দূরদর্শিতা দিয়ে বরিশাল-৩ আসনের উন্নয়নকে আরো ত্বরান্বিত করতে চান এই প্রার্থী।
১৯৮১-৮২ সালে বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা ও বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা শহীদ রাষ্ট্রপ্রতি জিয়াউর রহমান বীরউত্তম এর স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে খাল কাটা কর্মসূচি সহ বিএনপি’র ১৯ দফা কর্মসূচি দেখে শহীদ রাষ্ট্রপ্রতি জিয়াউর রহমান এর আদর্শে অনুপ্রানীত হয়ে বিএনপি’র সহযোগী সংগঠন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের মাধ্যমে ছাত্র রাজনীতিতে পদার্পন করেন। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল মুলাদী কলেজ শাখার সভাপতি নির্বাচিত হয়ে ছাত্রদলের কার্যক্রম শুরু করেন।
১৯৮৬-৮৭ সালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল মুলাদী উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক নির্বচিত হন। ১৯৮৮-৮৯ সালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল মুলাদী উপজেলা শাখার সভাপতি নির্বচিত হন। ১৯৯৭ সালে ৬ নং মুলাদী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন তিনি। ১৯৯৮-৯৯ সালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদীদল (বিএনপি) মুলাদী উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০০১ সালে মুলাদী পৌরসভা নির্বাচনে জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে পৌরসভার প্রথম মেয়র নির্বাচিত হয়ে এলাকার উন্নয়নে ব্যাপক সফলতা অর্জন কওে জাপ্রিয়তা লাভ করেন। ২০০৩-০৪ সালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদীদল বিএনপি’র দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে মুলাদী উপজেলা শাখার সভাপতি নির্বাচিত ও ২০০৯ সালে ২২ জানুয়ারী অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে মুলাদী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে সুনামের সাথে এলাকার উন্নয়নে ভ’মিকা রাখেন।
এর পর ২০০৯-১০ সালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি’র) বরিশাল সদর উত্তর জেলা শাখার দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত ও বর্তমানে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপির) মুলাদী উপজেলা শাখার সদস্য ও বরিশাল সদর উত্তর জেলা (বিএনপির) ০১ নম্বর সদস্য হয়ে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
বিগত দিনে বিএনপি’র চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও সিনিয়র ভাইস-চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান এর মুক্তি আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন। বিএনপি’র ডাকা হরতাল, অবরোধ সহ বিভিন্ন কর্মসূচিতে সক্রিয়ভাবে মুলাদী উপজেলা ও বরিশাল বিভাগীয় শহরে কর্মসূচিতে অংশগ্রহন করে করে একাধিক বার আওয়ামী ফেসিবাদের মামলা হামলার স্বিকার হয়ে কারাবাস কনে।
স্থানীয় বাসিন্দারা আবুল কালাম, জাহিদুল ইসলামসহ অনেকেই জানান, আব্দুস ছাত্তার খান অসহায় ও দরিদ্র রোগীদের চিকিৎসা সেবায় সহায়তা করে থাকেন, এবং অসহায় দুস্থ গরিব পরিবারদের কে বিভিন্ন প্রকার আর্থিক সহযোগিতার পাশাপাশি ছেলে-মেয়েদের লেখা পড়ার খরচ দিয়ে আসছেন। এছাড়া উপজেলার বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়নসহ এলাকাবাসীর সুখে দুঃখে পাশে থেকে সহযোগিতা করে আসছেন। তিনি এই আসনের জনসাধারণের আস্থা অর্জন করে নিয়েছেন বলেও জানান মুলাদী-বাবুগঞ্জের নারী-পুরুষ সহ কিশোর, যুবক ও প্রবীণ ব্যক্তিরা। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শে আদর্শিত বিএনপি’র ত্যাগী এই নেতা ওই এলাকার আসন্ন সংসদ নির্বাচনে নিজের অবস্থান তৈরি করে নিয়েছেন বলেও জানান স্থানীয় নেতৃবৃন্দ সহ একাধিক এলাকাবাসী।
এ আসনের উঠতি ভোটারদের মতে আব্দুস ছাত্তার খান ছাত্রদল, যুবদল এবং বিএনপি’র নেতৃত্বে আসার পর স্থানীয় রাজনীতিকে যেভাবে সুসংগঠিত করেছেন এবং নেতাকর্মীদের আস্থা অর্জন করেছেন সেখানে আব্দুস ছাত্তার খানের বিকল্প প্রার্থী নাই।
স্থানীয় জনগণ তাকে সবসময় কাছে পায়। তাই স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাকর্মী এমন একজন নেতাকেই সংসদ সদস্য হিসেবে পেতে চায়। একজন যোগ্য নেতা হিসেবে জনগনের সাথে রয়েছে তার সম্পৃক্ততা। তিনি একজন ন্যায় বিচারক এবং দানবীর।
এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে আব্দুস ছাত্তার খান বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দিকনির্দেশনায় এই আসনটিকে রোল মডেল হিসেবে গড়ে তোলা হবে। ###
https://slotbet.online/