আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হওয়ার ঘোষণার পর বরিশালে ছাত্র ও জনতার স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয়েছে বিশাল বিজয় মিছিল। শনিবার রাত ১১টা ৩০ মিনিটে নগরীর নতুল্লাবাদ মোড় থেকে শুরু হয় মিছিল ও মোটরসাইকেল শোডাউন, যা বিভিন্ন প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে নগরীর টাউন হল চত্বরে গিয়ে সমাপ্ত হয়।
মিছিলে অংশ নেন বরিশালের বিভিন্ন কলেজ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ নানা শ্রেণিপেশার মানুষ। ব্যানার, প্ল্যাকার্ড, জাতীয় পতাকা ও প্রতিবাদী স্লোগানে মুখর ছিল গোটা নগর। এ যেন এক নতুন যুগের সূচনার ঘোষণা।
টাউন হল চত্বরে আয়োজিত সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তৃতা দেন বরিশাল সরকারি ব্রজমোহন (বি এম) কলেজ ও হাতেম আলী কলেজের শিক্ষার্থীরা।
বি এম কলেজের শিক্ষার্থী মো: এস এম রাজু বলেন,
“এটি কেবল একটি রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করার ঘটনা নয়—এটি জনগণের দীর্ঘদিনের রুদ্ধ কণ্ঠকে মুক্ত করে দেওয়ার প্রক্রিয়া।”
বি এম কলেজের শিক্ষার্থী হুসাইন আল সুহান বলেন,
“আমরা যারা রাজনীতি সচেতন তরুণ, তারা আজ গর্বিত—কারণ আমরা পরিবর্তনের ইতিহাসের অংশ।”
হাতেম আলী কলেজের শিক্ষার্থী মো: রেদোয়ান বলেন,
“এই নিষেধাজ্ঞা স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের প্রতীক। আজ আমরা রাস্তায় নেমে জানিয়ে দিচ্ছি—এই দেশ কারও পারিবারিক সম্পত্তি নয়।”
বিএম কলেজের ছাত্র শাহেদ বলেন,
“বরিশাল বরাবরই প্রতিবাদের কেন্দ্র। আজ আমরা সেই ইতিহাসের নতুন অধ্যায় লিখছি।”
বক্তারা তাঁদের বক্তব্যে আরও বলেন, “বাংলাদেশ তার ঐতিহাসিক ভূমিকা আবারও স্মরণ করিয়ে দিয়েছে। ১৯৫২-এর ভাষা আন্দোলন, ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ, ১৯৯০-এর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় আজকের এই মিছিল গণতন্ত্রের পথে নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিয়েছে।”
শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত এই কর্মসূচিকে ঘিরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নগরজুড়ে ছিল পর্যাপ্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
https://slotbet.online/