বরিশালবাসীর দীর্ঘদিনের স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে আরেক ধাপ এগিয়ে গেল মীরগঞ্জ সেতু নির্মাণ প্রকল্প। আড়িয়াল খাঁ নদীর ওপর বহুল প্রতীক্ষিত এই সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন হওয়ায় মুলাদী, হিজলা ও মেহেন্দিগঞ্জ—এই তিন উপজেলার প্রায় ৮ লাখ মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস।
বাবুগঞ্জের মীরগঞ্জ ফেরিঘাটকে স্থানীয়দের ‘প্রবেশদ্বার’ বলা হলেও যাত্রী হয়রানি, অতিরিক্ত ভাড়া আদায়, এমনকি হামলা–হামলার ঘটনাও নতুন কিছু ছিল না। তাই নদীর ওপর আধুনিক সেতু নির্মাণ ছিল বছরের পর বছর এলাকার মানুষের প্রধান দাবি।
রবিবার দুপুরে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের দুই উপদেষ্টা আনুষ্ঠানিকভাবে ফলক উন্মোচন করে এই প্রকল্পের যাত্রা শুরু করেন। এ সময় সড়ক পরিবহন, সেতু ও জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন—
“স্থানীয় কোন্দল থাকলে উন্নয়ন প্রকল্প ব্যাহত হয়; এতে বাড়ে দুর্নীতি।”
তিনি উন্নয়নের স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।
নৌ-পরিবহন উপদেষ্টা উপস্থিত জনতাকে উদ্দেশ্য করে বলেন—
“দুর্নীতি প্রতিরোধে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। উন্নয়ন সকলের অধিকার।”
প্রায় ১.৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই কেবল-এক্সট্রাডোজড টাইপের মীরগঞ্জ সেতুটি নকশায় বরিশালের বিখ্যাত পায়রা সেতুর আদলে তৈরি করা হবে। প্রকল্পটির জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ১০৭২ কোটি টাকা, আর নির্মাণ কাজ তিন বছরের মধ্যে দৃশ্যমান হবে বলে জানায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
সেতুটি চালু হলে বরিশাল বিভাগে যোগাযোগ ব্যবস্থায় বড় পরিবর্তন আসবে। মুলাদী, হিজলা ও মেহেন্দিগঞ্জবাসীর বরিশাল শহরমুখী যাত্রা হবে সহজতর, কমবে সময় ও ভোগান্তি। স্থানীয়দের আশা—মীরগঞ্জ সেতু শুধু নদী পারাপারের ভরসা নয়, বরং হবে বরিশালের আর্থসামাজিক উন্নয়নের নতুন দিগন্ত।
https://slotbet.online/