ভূমিকম্প পূর্ব ও পরবর্তী ক্ষয়ক্ষতি কমানো, উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা এবং উদ্ভূত প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য বরিশালে কর্মশালা ও প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বরিশালের আউটার স্টেডিয়াম এলাকায় ৭ পদাতিক ডিভিশনের তত্ত্বাবধানে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য ও সেচ্ছাসেবক দলের সদস্যদের নিয়ে তিনদিন ব্যাপি কর্মশালা চলছে।
আয়োজিত কর্মশালায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে অংশগ্রহণকৃত ১২০ জন নীতিনির্ধারককে বিষয়ভিত্তিক আলোচনা ও কর্মশালার মাধ্যমে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কর্মপরিকল্পনা নিরূপণ, কার্যপ্রণালি প্রণয়ন ও আন্তঃপ্রতিষ্ঠান সমন্বয় সাধনের উপর প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে। এছাড়া প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকৃত মাঠ কর্মী, সেচ্ছাসেবক ও শিক্ষার্থীদের মাঝে সনদপত্র বিতরণ করা হবে।
অপরদিকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও স্কুল-কলেজ থেকে অংশগ্রহণকৃত ৩৭৫ জন মাঠকর্মী, সেচ্ছাসেবক ও ছাত্র-ছাত্রীদেরকে নিয়ে ৫ দিন ব্যাপি ভূমিকম্প পরবর্তী উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা ও প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদানের ওপর মাঠ পর্যায়ে বিভিন্ন দল ভিত্তিক প্রশিক্ষন প্রদান করা হচ্ছে।
এ আয়োজন চলাকালে বুধবার (০৩ ডিসেম্বর) সকালে কর্মশালা ও প্রশিক্ষনস্থল ঘুরে দেখে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৭ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল এম খায়ের উদ্দীন। পরিদর্শেন শেষে ৭ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার মেজর জেনারেল এম খায়ের উদ্দীন কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীদের মাঝে সনদ বিতরণ করেন।
সনদ বিতরণ শেষে তিনি তার বক্তব্যে বলেন, বরিশাল বরাবরই বন্যা, জলোচ্ছ্বাস, ঘূর্ণিঝড়ের মুখোমুখি হয়। পাশাপাশি বাংলাদেশ বিগত অনেক বছর যাবৎ উচ্চ ভূমিকম্পের ঝুঁকির মধ্যে ছিল, এখনও আছে। গত কয়েকদিনে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন মাত্রায় ভূকম্পন অনূভূত হয়েছে। এতে প্রাণহানির পাশাপাশি কিছু স্থাপনার ক্ষতিসাধনও হয়েছে।
তিনি বলেন, সামনে যে কোনো সময় এই কঠিন মহাবিপর্যয়ের মধ্যে পড়তে হতে পারে। সেই বিপর্যয় আমরা সম্মিলিতভাবে কীভাবে কাটিয়ে উঠতে পারি, সেটা জানা ও বোঝার জন্যই আমাদের এ কর্মশালা ও মহড়ার আয়োজন করা হয়েছে। কর্মশালার মাধ্যমে আগামীতে ভূমিকম্প পরবর্তী সময়ে আমরা সবাই সতর্ক থাকতে পারবো। এখান থেকে যে জ্ঞান অর্জন করেছে তা সবার মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
তিনি প্রশিক্ষনে অংশগ্রহণকৃত সব প্রতিষ্ঠানের সদস্যদের অংশগ্রহণে আয়োজিত আগামী ৭ ডিসেম্বর সম্মিলিত মহড়ায় সকলকে উপস্থিত থাকার আহবান জানান।
এদিকে অংশগ্রহণকারীরা বলছে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এই উদ্যোগ জেলার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, প্রস্তুতি ও দ্রুত প্রতিক্রিয়া সক্ষমতাকে আরও শক্তিশালী করবে।
কর্মশালায় বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি, পুলিশ কমিশনার সহ প্রশাসনের উর্ধত্বন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
https://slotbet.online/