জাতীয় নাগরিক পার্টি এনসিপির দক্ষিনাঞ্চলের মূখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, সংস্কার না হলে নির্বাচন কেমনে হবে। এই সরকারের যদি সংস্কারের ম্যান্ডেট না থাকে। এই গনঅভূত্থান পরবর্তীতে এই সরকারের যদি জুলাই সনদ ঘোষনা দেওয়ার ম্যান্ডেট না থাকে ,তা হলে এই সরকার কোন ম্যান্ডেটে নির্বাচন দিবে সেটা আমি দেখতে চাই। তবে নির্বাচন অবশ্যই ফেব্রয়ারীতে হতে হবে। নির্বাচনকে তারাই পিছিয়ে দিতে চায় যারা এই সরকারের সাথে জুলাই সনদের একটা মুখোমুখি দাড় করিয়ে দিতে চায়। সংস্কার প্রক্রিয়া। যথাযথ ভাবে সম্পন্ন করে অবশ্যই নির্বাচন ফেব্রয়ারীতে হতে হবে। রবিবার দুপুরে ভোলায় জেলা পরিষদ মিলনায়তনে এনসিপির দলীয় কার্যক্রম গতিশীল করার লক্ষে অনুষ্ঠিত সমন্বয় সভা শেষে প্রেসব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি আরো বলেন, যারা জুলাই সনদ চায় না ,তারা বাংলাদেশটাকে কোন দিকে নিতে চায়। তারা আসলে কিসের প্রস্তুতি নিচ্ছে। সেই বিষয়টি জনগনের বুঝে যাওয়ার কথা। আমরা তাদের সাথেই জোট করবো, যাদের অবস্থান সংস্কারের পক্ষে এবং ২৪ যেই জনআকাঙ্খার কারনে ঘটেছে,সংবিধানিক রাষ্ট্রের কাঠামোতে দুর্বলতা উত্তরনে যারা আমাদের পাশে আসবে। আমাদের সাথে থাকবেন ,তাদেরকে নিয়েই আমাদের জোট হতে পারে।
তিনি স্পষ্ট করে আরো বলেন,গন ভোটের সাথে এটার অর্ডার হতে হবে। এই আদেশ অবশ্যই ড. মোহাম্মদ ইউনুস কে জারি করতে হবে। কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি একটা পক্ষ তারা চায় চুপ্পু এই আদেশের স্বাক্ষর করবে। চুপ্পুর কাছ থেকে যদি জুলাই সনদের স্বাক্ষর নিতে হয়, তা হলে আমাদের সবার ভালো না নদীতে ডুবে যাওয়া।
এনসিপির ভোলা জেলা শাখার প্রধান সমন্বয়কারী মেহেদী হাসান শরীফের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বরিশাল বিভাগীয় সম্পাদক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আ্যড. মুজাহিদুল ইসলাম শাহিন, দক্ষিনাঞ্চলের যুগ্ম মূখ্য সংগঠক ডা. মাহমুদা আলম মিতু উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও সভায় উপস্থিত ছিলেন এনসিপির কেন্দ্রীয় ও জেলাসহ ইউনিয়নের অন্যান্য নেতৃবৃন্দরা। এর আগে তিনি সকালে বরিশাল থেকে স্পিড বোটে ভোলায় আসেন।
https://slotbet.online/