নিখোঁজের খবর পেয়ে কুয়াকাটা নৌ পুলিশ, ট্যুরিস্ট পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস এবং স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবীরা যৌথভাবে উদ্ধার অভিযান চালান। পরে সৈকতে গোসলরত এক পর্যটকের পায়ে মরদেহটি স্পর্শ করলে ডুবুরি দলকে জানানো হলে তারা মরদেহ উদ্ধার করেন।
বুধবার (৬ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে কুয়াকাটা সৈকতের জিরো পয়েন্ট এলাকায় গোসলে নেমে নিখোঁজ হয় সামাদ।
সামাদ খুলনার খালিশপুর এলাকার বাসিন্দা মো. আলীউল ইসলামের ছেলে।
সে খুলনা থেকে আসা সাতজনের পর্যটক দলের একজন। দলটি সোমবার কুয়াকাটায় এসে একটি আবাসিক হোটেলে ওঠে। বুধবার সকালে তাদের মধ্যে পাঁচজন সৈকতে গোসলে নামলে সাঁতার না জানা সামাদ ঢেউয়ের তোড়ে সাগরে তলিয়ে যায়।
সামাদের সঙ্গীরা ঢেউয়ের সঙ্গে লড়াই করে তীরে উঠলেও সামাদ আর ফিরতে পারেনি। অবশেষে সোয়া তিন ঘন্টা পর দুপুর সোয় দুইটার দিকে সামাদের লাশ উদ্ধার করতে সক্ষম হন ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা। তবে এ সময় সমুদ্র শান্ত ছিল। শান্ত সাগরে এমন দুর্ঘটনায় অবাক হয়েছেন অনেকেই।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, ছেলেটি পানিতে হাত উঁচিয়ে সাহায্য চাইছিল। আমরা দৌড়ে এগোনোর আগেই সে তলিয়ে যায়। তবে এত দ্রুত লাশ পাওয়া যাবে আমরা ভাবেনি।
নিখোঁজ সামাদের সঙ্গী সেলিম রেজা বলেন, আমরা একসঙ্গে ঘুরতে এসে এভাবে একজনকে হারিয়ে ফেলবো ভাবিনি। জীবিত বন্ধুকে নিয়ে তারা কুয়াকাটায় বেড়াতে এসেছেন। এখন তার লাশ নিয়ে ফিরতে হবে। যা আমরা কোন ভাবেই মেনে নিতে পারছি না। খুবই চিন্তিত আমরা। সামাদের পরিবারকে কি বলবো এখন।
পুলিশ জানিয়েছে, মিয়া সামাদ সিদ্দিকীর পরিবারকে খবর দেয়া হয়েছে। তারা এখবর শুনে খুলনা থেকে কুয়াকাটার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়েছেন বলে জানাগেছে।
কুয়াকাটা নৌ পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘মরদেহ উদ্ধারের পর প্রাথমিক সুরতহাল শেষে তা মহিপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।’
মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদ হাসান বলেন, ‘লাশ থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনানুগ প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।’