• রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ১২:২৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম
মেহেন্দিগঞ্জে যৌতুকের দাবিতে গৃহবধূ ও শাশুড়িকে পিটিয়ে আহত ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনসহ ৫ দফা দাবিতে বরিশালে ইসলামী আন্দোলনের বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল আব্দুল গাফ্ফার তালুকদারের মৃত্যুতে আব্দুস ছাত্তার খানের শোক পিআর পদ্ধতি এবং রাষ্ট্র সংস্কারের দাবিতে বাবুগঞ্জে ইসলামী আন্দোলনের জনসভা খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় বরিশালে নারী সমাবেশ ও দোয়া মোনাজাত বরিশাল মহানগর জামায়াতের উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশ হিজলায় বিএনপি’র পক্ষে ভোট চাইলেন দেওয়ান মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ বরিশাল বিএম কলেজে বাকসু নির্বাচনের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ আলেকান্দা সরকারি কলেজ সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ টুঙ্গীবাড়ীয়ায় বিএনপি’র ৩১ দফা রাষ্ট্র কাঠামো লিফলেট বিতরণ

সাগরে দেখা দিয়েছে মাছ সংকট

এ এম মিজানুর রহমান বুলেট, কলাপাড়া / ৪৮ পড়া হয়েছে
প্রকাশিত : রবিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৫

বঙ্গোপসাগরে দিন দিন বেড়ে চলেছে মাছ ধরার অনুমোদনহীন নৌযান ট্রলিং বোট। এসব নৌযানে নিষিদ্ধ জাল ব্যবহার করে মাছ শিকার করায় মারা যাচ্ছে সব প্রজাতির মাছের পোনা। যার ফলে মাছের উৎপাদন কমে যাওয়ার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই ট্রলিং বোট নিষিদ্ধদের দাবিতে রবিবার (২৭ জুলাই) সকাল ১১ টায় কুয়াকাটায় শত শত জেলেদের উপস্থিতিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
মৎস্যজীবীদের অভিযোগ, ট্রলিং বোটের মাধ্যমে নির্বিচারে মাছ শিকার করায় সমুদ্রে মাছের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে মৎস্য আহরণে। এমন অবস্থা চলতে থাকলে মাছ শূন্য হয়ে পড়বে সমুদ্র। ট্রলিং বোট ব্যবসায়ীরা সংখ্যায় কম হলেও ক্ষতি হচ্ছে অনেক বেশী। মৎস্য বন্দর আলীপুর-মহিপুর বহিরাগতসহ ট্রলিং ব্যবসায়ীর সংখ্যা রয়েছে ৫০ থেকে ৬০টি। কিন্তু এ অঞ্চলে লম্বাজাল, খুটাজাল, ছান্দিজালের মাছ ধরার ট্রলার রয়েছে কয়েক হাজার। বর্তমান সরকারের কাছে দাবি জেলেদের বাঁচাতে দ্রুত অবৈধ ট্রলিং বোট নিষিদ্ধ করা হয়।
নীতিমালা অনুযায়ী, ৪০ মিটার গভীরতার কম পানিতে মাছ শিকার করতে পারবে না ট্রলিং বোট। কিন্তু এর তোয়াক্কা না করেই বঙ্গোপসাগরে ট্রলিং বোট দিয়ে মাছ শিকার করায় সরকারের মাছ উৎপাদন বৃদ্ধির সকল পরিকল্পনা ভেস্তে যাচ্ছে। নিষিদ্ধ ট্রলিং বোট নিয়ে বিপাকে পড়ছে মৎস্য বিভাগও।
 আশার আলো মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি নিজাম শেখ  বলেন, নিষিদ্ধ ট্রলিং বোটের চিকন ফাঁসের জালে বিভিন্ন প্রজাতির ছোট মাছ ধরা পড়ায় সাগরে মাছ সংকটে দেখা দিয়েছে। যার ফলে চলতি মৌসুমে সাগরে তেমন একটা মাছ ধরা পড়ছে না। এতে জেলে থেকে শুরু করে এই শিল্পে জড়িত সবাই লোকসানের মুখে। আমরা দ্রুত এই নিষিদ্ধ ট্রলিং বোট বন্ধ চাই।
পটুয়াখালী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ কামরুল ইসলাম বলেন,নিষিদ্ধ ট্রলিং বোট মালিকের কিছু অংশ তারা মাছ ধরার জন্য উচ্চ আদালত থেকে একটি রীট দায়ের করেছে। ফলে আইনের কারণে আমরা কিছু করতে পারছি না। তদুপরিও এই সকল ট্রলিং বোটে অবৈধ জাল ও মাছ রয়েছে কিনা তার জন্য অভিযান পরিচালনা করি। এছাড়া যেসকল মালিকরা রীট করে নাই তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চলমান রয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ রকম আরো সংবাদ...
https://slotbet.online/