নৌ-পরিবহন, শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন জানিয়েছেন, ভাঙা থেকে পটুয়াখালী পর্যন্ত ৬ লেনের মহাসড়ক হবে এবং এজন্য কিছু জমি অধিগ্রহণ করা রয়েছে, বাকিগুলো করতে হবে।
এসময় তিনি আরও জানান, ভাঙা থেকে বরিশালে রেলওয়ের ডিপিপি আগে দেয়া রয়েছে। রেলওয়ে আপাতত আমাকে বরিশাল পর্যন্ত কাজের কথা জানিয়েছেন। আর বরিশালের পরে পটুয়াখালী পর্যন্ত রেলওয়ে নিতে অনেক পয়সা খরচ করতে হবে। তাই এই পুরাটা পথ করতে হবে প্লানিং-এ দুই থেকে তিন বছর সময় শেষ হয়ে যাবে, তাই আমি থাকতে থাকতে যেন প্ল্যানিংটা করে ফেলে এবং পাশ হয় সেই জন্য বলেছি।
বরিশাল নগরের জেল খাল, পোর্ট রোড, নদী বন্দরসহ বিভিন্ন জায়গা পরিদর্শন শেষে শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সার্কিট হাউজের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন নৌ-পরিবহন, শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন।
এসময় তিনি আগামীডিসেম্বরের মধ্যে বরিশালের বাবুগঞ্জ ও মুলাদীর আড়িয়াল খা নদের ওপর মীরগঞ্জ ফেরির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এছাড়া তিনি বরিশাল নগরের বাসিন্দাদের জন্য অক্টোবরের মধ্যে নদীর পানি পরিশোধন করে ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট অপারেশনে যাওয়ার কথা ঘোষণা করেন।
ভোলার গ্যাস ভোলার মানুষ না পাওয়ায় সেখানকার মানুষের মাঝে দুঃখ রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, সেখানকার মানুষের বাসা বাড়িতে গ্যাস দিলে কতটুকু আর প্রয়োজন হবে কিন্তু ভোলাবাসী তাদের গ্যাস পাচ্ছে না। তবে এর থেকে দুঃখজনক রাতে কেউ অসুস্থ হলে ভোলা থেকে বরিশালে রাতের বেলা আনা খুব কঠিন। এজন্য আমরা কিছু উদ্যোক্তাকে বলেছি যেন সর্বোচ্চ সুবিধা বিশিষ্ট দুটি অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা তারা করেন।
তিনি বলেন, বরিশাল সিটি করপোরেশনের বর্তমান দায়িত্বরতরা জেলখাল পরিষ্কার করেছেন তবে তা পর্যাপ্ত নয়। জেলা প্রশাসকও নিজ উদ্যোগে একটি খাল পরিষ্কার করেছেন। এখন খালগুলোর সঠিক রক্ষনাবেক্ষনের জন্য বিআইডব্লিউটিএর এক্সেভেটরসহ যা প্রয়োজন তা ব্যবহার করতে বলা হয়েছে।
তিনি বলেন, বরিশালের হিজলা-মেহেন্দিগঞ্জের নদীভাঙ্গন রোধে ৮১০ কোটি টাকার পরিকল্পনা প্রায় পাস হওয়ার পথে। সবুজ পাতায় উঠেছে, প্রি একনেক অচিরেই হবে এবং আশাকরি এই শীতের মধ্যে কাজও শুরু হবে।
এছাড়া সরকারি সৈয়দ হাতেম আলী কলেজ ও সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজে কিছু বরাদ্দ এসেছে। ভবিষ্যতে আরও বড় বরাদ্দ আসবে যারমাধ্যমে হল ও রাস্তাঘাট সংস্কার করা সম্ভব হবে।
উপদেষ্টা বলেন, ১২৫-৩০ বছরের পুরোনো স্টিমার রয়েছে আমাদের, যার জন্য বরিশালে একটি স্টিমার ঘাটও ছিল। এখন নতুন করে বিশ্বব্যাংক বরিশালে একটি ঘাট তৈরি করছে, আশা করি অক্টোবরের মাঝামাঝি প্যাডেল চালিত সেই জাহাজ বা স্টিমার নিয়ে বরিশালে আসতে পারবো। কমার্শিয়াল হয়তো নাও হতে পারে তবে আপনারা সমর্থন দিলে সবাইকে এতে চড়াবো।
তিনি বলেন, আমরা পুরোনা সবকিছু ভেঙে ফেলতে ওস্তাত কিন্তু বহিঃবিশ্বে এগুলো ভাঙে না। ইউরোপের প্রতিটি নদীতে এগুলো চলতে দেখবেন কিন্তু বরিশালে কোন অ্যাটরাকশন নেই, যা আছে সবকিছু ভেঙেচুরে শেষ। জিলাস্কুল ছিল দিয়েছে ভেঙে। আমাদের পুরোনো সার্কিট হাউজ অত্যন্ত ঐতিহ্যবাহী, এটাকে সংস্কার করে মেইন সার্কিট হাউজ করে রাখার জন্য বলেছি। প্রয়োজনে বিদেশী লোকদের যেন এটি ভাড়া দিতে পারি।
তিনি বলেন, বরিশালে আগামী বিপিএল এর খেলা দেখতে চাই বলে বিসিসি চেয়ারম্যানকে বলেছি, তিনি প্রমিজ করেছেন আমাকে যে বরিশালে বিপিএল এর একটি খেলা দিবেন। আর খেলা যদি হয়, তাহলে আমি বলেছি বিআইডব্লিউটিসির স্টিমার দিয়ে সব খেলোয়াড়দের নিয়ে আসা ও খাওয়ানোর কথা। তিনি এতে রাজি হয়েছেন
https://slotbet.online/