• শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:২৩ অপরাহ্ন

জুলাই অভ্যুত্থান স্মরণে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হিজলায় গণমিছিল ও সমাবেশ

হিজরা প্রতিনিধি / ৭৬ পড়া হয়েছে
প্রকাশিত : মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট, ২০২৫

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ হিজলা উপজেলা শাখার আয়োজনে জুলাই অভ্যুত্থান স্মরণে গণমিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত

সানাউল্লাহ আস-সুদাইস, হিজলা উপজেলা প্রতিনিধি
বরিশালের হিজলা উপজেলায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর উদ্যোগে “জুলাই অভ্যুত্থান” এর বর্ষপূর্তি উপলক্ষে এক বর্ণাঢ্য গণমিছিল ও বিশাল জনসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ উপলক্ষে হিজলার রাজপথে প্রায় ৩০০০+ নেতা-কর্মী ও তৌহিদী জনতা অংশগ্রহণ করেন।

গণমিছিল শেষে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ হিজলা উপজেলা শাখার সভাপতি, তরুণ মেহনতি নেতা সৈয়দ মোজাম্মেল হক মাকসুদ বলেন—
“জুলাই অভ্যুত্থান ছিল বিশ্ব মুসলিমের ইতিহাসে এক গভীর ষড়যন্ত্র, যার মাধ্যমে ইসলামী রাষ্ট্রব্যবস্থা, খেলাফত এবং ওলামায়ে কেরামের নেতৃত্ব ধ্বংসের চেষ্টা করা হয়েছিল।
আজ আমরা সেই অন্যায়ের প্রতিবাদে, ইসলামের স্বার্থে, এবং খেলাফত প্রতিষ্ঠার দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে রাজপথে নেমেছি
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ শুধুমাত্র একটি রাজনৈতিক দল নয়—এটি একটি ঈমানি আন্দোলন, একটি ঐক্যবদ্ধ বিপ্লবের নাম।
আমরা দেশের প্রতিটি প্রান্তে খেলাফতের দাবিতে আওয়াজ তুলবো, ইনশাআল্লাহ।”

সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ হিজলা উপজেলার সেক্রেটারি মাওলানা আব্দুল্লাহ বিন কালাম বলেন—
“আজ হিজলার রাজপথে প্রমাণ হয়ে গেছে—এই জনপদের হৃদয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশই স্থান করে নিয়েছে।
৩০০০+ জনতার কণ্ঠে ঘোষিত হয়েছে: ‘অন্যায়কারীদের পতন চাই — ইসলামী শাসন কায়েম চাই!’
এই গণমিছিল শুধুমাত্র স্মরণ নয়—এটি ছিল একটি শপথ। আমরা প্রমাণ করেছি, চরমোনাইর সৈনিকেরা ঘরে বসে থাকে না।
হিজলার মাটি এখন ইসলামী আন্দোলনের ঘাঁটি, যেখানে দালালদের কোনো ঠাঁই নেই।”

তিনি আরও বলেন—

এছহাক মোহাম্মদ আবুল খায়ের ভাই ভয় নাই, রাজপথ এখনো ছাড়ি নাই!
আপনার নেতৃত্বেই আমরা ইনশাআল্লাহ এগিয়ে যাব। ইসলামী শাসনের সোনালী ভোর একটিবার আসবেই—আর সেই ইতিহাস হিজলার রাজপথেই লেখা শুরু হয়েছে।”

এছাড়াও সমাবেশে ইসলামী যুব আন্দোলন – হিজলা উপজেলার সভাপতি কাজী মাহফুজ কে. এম বলেন—
“জুলাই অভ্যুত্থানের কালো দিনটি ছিল মুসলিম উম্মাহর বুকে গভীর ক্ষতের নাম।
ইসলামের শত্রুরা কখনোই চায় না মুসলমানরা ঐক্যবদ্ধ থাকুক, খেলাফতের আলো ছড়িয়ে পড়ুক।
তাই তারা একের পর এক ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে।
কিন্তু আমরা ইসলামী যুব আন্দোলনের সৈনিকরা বসে থাকবো না—আমরা জান দিয়ে হলেও ইসলামী রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার পথ থেকে সরবো না। ইনশাআল্লাহ।”

সমাবেশে বিশেষ বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন *জাতীয় শিক্ষক ফোরাম – হিজলা উপজেলা শাখার সভাপতি*। তিনি বলেন“শিক্ষক সমাজ শুধুমাত্র পাঠদান করে না, বরং জাতিকে পথ দেখায়
জুলাই অভ্যুত্থান ছিল মুসলিম ইতিহাসে বিশ্বাসঘাতকতার প্রতীক।
আমাদের দায়িত্ব হলো নতুন প্রজন্মকে এই ইতিহাস জানানো এবং ইসলামী আদর্শে উদ্বুদ্ধ করা।
ইসলামী আন্দোলনের প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে আমরা বলছি—শিক্ষক সমাজও খেলাফতের পক্ষে, ইসলামী রাষ্ট্রব্যবস্থার সংগ্রামে আমরা পিছিয়ে নেই।”

গণমিছিল ও সমাবেশে হিজলা উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়ন থেকে দলে দলে অংশ নেয় নেতা-কর্মীরা।
সমাবেশ শেষে “ইসলামী শাসন কায়েম করো”, “খেলাফত চাই”, “দালালদের বিচার চাই” ইত্যাদি স্লোগানে মুখরিত হয় হিজলার রাজপথ


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ রকম আরো সংবাদ...
https://slotbet.online/