জামায়াতে ইসলামের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেছেন, “আমরা বাউফলে আর পুরোনো নেতৃত্ব চাই না; এবার নতুনের বাংলাদেশ। তরুণরাই সমাজ ও রাষ্ট্রে পরিবর্তন এনেছে—এদের নেতৃত্বেই হবে বাউফলের প্রকৃত উন্নয়ন।”
৫ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার নাজিরপুর তাঁতের কাঠি ইউনিয়নে দিনব্যাপী গণসংযোগ, পথসভা ও উঠান বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. মাসুদ বলেন,
“জমিন যার আইন চলবে তার—এ স্লোগানকে সামনে রেখে জনগণ দাঁড়িপাল্লায় ভোট দেবে। বাউফলে আর চাঁদাবাজি ও দখলদারিত্বের রাজনীতি চাই না। শত শহীদের রক্তে ভেজা এই বাউফল সেবক চায়, মালিক নয়।”
তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক সচেতনতা সৃষ্টি করা প্রতিটি নাগরিকের অধিকার। সৎ, দক্ষ ও দুর্নীতিমুক্ত প্রতিনিধি নির্বাচন করতে না পারলে কখনোই স্বচ্ছ সমাজ গঠন সম্ভব নয়।
কিছু বুদ্ধিজীবীর সমালোচনা করে তিনি বলেন,
“যারা বলে জামায়াত নির্বাচিত হলেও ক্ষমতা দেওয়া যাবে না—তাদের ২৪-এর পরিণতি ভোগ করতে হবে।”
বাউফলের উন্নয়নে নিজের বিভিন্ন উদ্যোগ তুলে ধরে তিনি বলেন “আমরা আধুনিক বাউফল গড়তে কাজ করছি। নারীদের সেলাই প্রশিক্ষণ দিয়ে সেলাই মেশিন বিতরণ করেছি, বেকার যুবকদের চাকরির ব্যবস্থা করেছি, বগা সেতু নির্মাণ ও নদীভাঙনরোধে কাজ করেছি, জেলেদের লাইফ জ্যাকেট বিতরণ করেছি।”
গণসংযোগে উপস্থিত ছিলেন—বাউফল উপজেলা ামায়াতের আমির মাওলানা মো. ইসহাক মিয়া, নায়েবে আমির মাওলানা রফিকুল ইসলাম, ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক দাওয়াহ ও আইন বিষয়ক সম্পাদক মুনতাসির মুজাহিদ, ঢাকা দক্ষিণের ব্যবসায়ী নেতা আতিকুল রহমান নজরুল, সাবেক শিবির সভাপতি ইউনুস চৌধুরী, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি রেদওয়ান উল্লাহ মাস্টারসহ স্থানীয় নেতাকর্মী ও সাংবাদিকরা।
দিনব্যাপী তিনি নাজিরপুর বোর্ড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সুলতানাবাদ ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা, তাঁতের কাঠি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বড় ডালিম দাখিল মাদ্রাসা, ছোট ডালিমিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ধান্দি কামিল মাদ্রাসা মাঠে বিভিন্ন পথসভা ও উঠান বৈঠকে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন।
এ রকম আরো সংবাদ...