বরিশাল নগরজুড়ে শয়তানের নি.শ্বাস ছড়িয়ে সাধারণ মানুষদের সর্বশান্ত করা চক্রের সদস্যদের গ্রেপ্তারসহ তাদের দৌরাত্ম্য ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) নেতা ডা. তানভীর আহমেদ। সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় বরিশাল প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই দাবি জানান।
ডা. তানভীর আহমেদ এবি পার্টির বরিশাল জেলা ও মহানগরের যুগ্ম সদস্য সচিব। তিনি নগরীর ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের ধানগবেষণা রোড এলাকার বাসিন্দা। গত শুক্রবার শয়তানের নি.শ্বাস ছড়ানো চক্রের খপ্পরে পড়ে সর্বস্ব হারিয়েছেন তার মা তাহমিনা বেগম।
এ ঘটনায় বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী পরিবারটি।
অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন এবং এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করেছে পুলিশ। তবে ঘটনার তিনদিন পেরিয়ে গেলেও চক্রের সদস্যদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
সংবাদ সম্মেলনে ুলিখিত বক্তব্যে ডা. তানভীর আহমেদ জানান, প্রতিদিনের ন্যায় তার মা ফজরের নাম শেষে রাস্তায় হাঁটতে বের হন। এসময় সকাল সাড়ে ৬টা থেকে ৭টার মধ্যে জিয়া সড়ক লেনের সি-ব্লকের মধ্যস্থানে এক যুবক এবং এক বয়স্ক লোক সহযোগিতা চাওয়ার নাম করে তার মাকে খপ্পরে ফেলে।
তিনি বলেন, চক্রের খপ্পরে পড়ে আমার মা মোসাম্মৎ তাহমিনা বাসায় গিয়ে আমার ছোট বোনের বিয়ের এবং পুত্রবধূর জন্য জমানো স্বর্ণালংকারসহ মায়ের সারা জীবনের জমানো প্রায় ১৬ ভরি ওজনের শখের অলংকার, যার মূল্য ২০ লক্ষাধিক টাকা এবং নগদ ৪৫ হাজার টাকা একটি কালো ব্যাগে ভর্তি করে শয়তানের নি.শ্বাস চক্রের হাতে তুলে দেয়।
ঘটনার মা স্বাভাবিক হয়ে তার হার্ট অ্যাটাকের উপক্রম ঘটে। পরে এ ঘটনায় কোতয়ালী মডেল থানায় অভিযোগ দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
ডা. তানভীর আহমেদ বলেন, শয়তানের নিঃশ্বাস হলো- এটি স্কোপোলামিন নামক প্রাকৃতিক বা কৃত্রিমভাবে তৈরি ট্রোপেন অ্যালকালয়েড। এটি মূলতঃ গতিজণিত অসুস্থতা এবং অপারেশনের পর বমি বমি ভাব ও বমি নিয়ন্ত্রণে ব্যবহৃত হয়। এই ওষুধের অপব্যবহার করে মানুষকে সম্মোহিত বা তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কাজ করিয়ে নেয়া যায়।
তিনি বলেন, বরিশাল সিটিতে এরকম ঘটনা প্রায়ই ঘটছে। এর ফলে বিষয়টি নিয়ে বরিশাল সিটি বাসিন্দারা উদবিঘ্ন হয়ে পড়েছে। শুধুমাত্র শহরেই নয়, চক্রটি গ্রামগঞ্জেও বিস্তৃত হচ্ছে। তারা রাজনৈতিক অপশক্তির ছত্রচ্ছায়া, প্রভাবশালী মহলের মদদ ও দুর্বল প্রশাসনিক নজরদারিকে পুঁজি করে দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
এসময় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এই চক্রের সিন্ডিকেট ভেঙে দিতে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনায় অভিযান জোরদার করতে হবে, জনগণের সহায়তায় তথ্যভিত্তিক নজরদারি ও গোয়েন্দা কার্যক্রম বাড়াতে হবে, সিটির আওতাধীন জনগুরুত্বপূর্ণ বাসা-বাড়ি, রাস্তাঘাট, ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান, জনগুরুত্বপূর্ণ এলাকাভিত্তিক সিসি টিভির আওতায় আনতে হবে। সাধারণ মানুষকে নিরাপত্তা ও আস্থার পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।
https://slotbet.online/