নিয়োগ বিধি লঙ্ঘন করে শ্রমিক দল নেতার সুপারিশে তিনজনকে নিয়োগ দিয়েছে বরিশাল শিক্ষা বোর্ড। খণ্ডকালীন নিয়োগ পাওয়া তিনজনের মধ্যে আবার দুজন শ্রমিকদল নেতার আত্মীয়। এ নিয়ে বোর্ডের অন্যান্য কর্মচারীদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।
জানা গেছে, বোর্ডের কাজকর্ম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে মজুরি ভিত্তিক মাস্টার রোলে নিয়োগ দেয়া হয়। এরা হলেন, বরিশাল মহানগর শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলামের শ্যালকের স্ত্রী ফাতেমাতুজ জোহরা, জেলা শ্রমিক দল নেতা মহসিন আহমেদের ভাগ্নে আবে কাওছার। এছাড়া তাদের সুপারিশে কম্পিউটার এটেনডেন্ট আজিজুল হককে অবৈধভাবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে ।
বোর্ডের দুজন কর্মচারী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, শ্রমিক দলের শহীদুল ইসলাম ও মহসিন আহম্মেদ বোর্ডের শ্রমিক সংঘের নেতা। তাদের প্রভাবে অন্যান্য কর্মচারীরা এমনকি বোর্ডের উর্ধতন কর্মকর্তারাও অপদস্থ হওয়ায় শঙ্কায থাকেন। বোর্ডে অন্তত চারজন সিনিয়র কর্মচারী থাকলেও মাস্টার রোলে শ্রমিক দলের নেতাদের আত্মীয় ও তাদের অনুসারীদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
বিধি অনুসারে সরকারি কোন নিয়োগে বহুল প্রচারিত পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি এবং নিয়োগ বোর্ড গঠন করতে হয়। কিন্তু এসব কিছু না করেই শ্রমিক দল নেতাদের চাপে বিধি লঙ্ঘন করে তিনজনকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
একজন কর্মকর্তা বলেন, বোর্ড সচিব পদায়ন নিয়ে শ্রমিক দল সম্পাদক শহীদুল ইসলামের নেতৃত্বে বোর্ড চেয়ারম্যানকে অবরুদ্ধ করা হয়েছিল। এরপর থেকে তার হাতে অপদস্ত হওয়ার ভয়ে থাকেন বোর্ডের কর্মকর্তা কর্মচারিরা। প্রতিটি কাজে তারা হস্তক্ষেপ করেন।
যদিও মহানগর শ্রমিক দলের সম্পাদক শহীদুল ইসলাম ও জেলা শুমিক দল নেতা মহসিন আহম্মেদের সাথে যোগাযোগ করেও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
বরিশাল বোর্ডের সচিব প্রফেসর মো : আবদুস সালাম বলেন, তাদের নিয়োগের জন্য আমাদের সুপারিশ করেছে। তবে এটি কোন স্থায়ী নিয়োগ না।
সরকারি বিধি অনুসারে কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ ও কমিটি গঠন করা হয়েছিল কিনা জানতে চাইলে বোর্ড সচিব জানান, এসব করা হয়নি।
https://slotbet.online/