মেঘনা নদীতে যাত্রীবাহী দুই লঞ্চের মুখোমুখি সংঘর্ষে অন্তত দুই যাত্রী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও অন্তত ২০ জন যাত্রী আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে আটজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। হতাহতদের সবাই এম.ভি. জাকির সম্রাট-৩ লঞ্চের যাত্রী।
আহত-নিহতদেরকে চাঁদপুর ঘাটে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। লঞ্চটি চাঁদপুর লঞ্চ টার্মিনালে ভেড়ানোর চেষ্টা করলে যাত্রীরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। পরে যাত্রীদের নিয়ে লঞ্চটি ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে।
ভোলার চরফ্যাশনের ঘোষেরহাট এলাকা থেকে ছেড়ে আসা এম.ভি. জাকির সম্রাট-৩ লঞ্চের সঙ্গে বরিশাল রুটের অ্যাডভেঞ্চার-৯ লঞ্চের সংঘর্ষ হয়। সোমবার রাত আনুমানিক ৩টার দিকে চাঁদপুরের হরিনা এলাকার মেঘনা নদীতে ঘন কুয়াশার মধ্যে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতদের পরিচয় পাওয়া যায়নি। আহতদের প্রাথমিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত লঞ্চেই চাঁদপুর ঘাটে নিয়ে যাওয়া হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা অ্যাডভেঞ্চার-৯ লঞ্চটি বরিশালের দিকে যাচ্ছিল। অপরদিকে জাকির সম্রাট-৩ লঞ্চটি ভোলা থেকে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করছিল।
হরিনা এলাকায় ঘন কুয়াশার কারণে অ্যাডভেঞ্চার-৯ লঞ্চটি সজোরে এসে জাকির সম্রাট-৩-এর মাঝামাঝি অংশে ধাক্কা দেয়।
এতে লঞ্চটির দ্বিতীয় তলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। সংঘর্ষের সময় যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
চাঁদপুর নদী বন্দরের বিআইডব্লিউটিএর উপপরিচালক মোহাম্মদ কামরুজ্জামান জানান, মেঘনা নদীতে ঘন কুয়াশার কারণে এই দুর্ঘটনার ঘটনা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
দুর্ঘটনার পর গভীর রাতে জাকির সম্রাট-৩ লঞ্চটি চাঁদপুর লঞ্চ টার্মিনালে ভেড়ানোর চেষ্টা করলে যাত্রীরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। একপর্যায়ে তারা লঞ্চে আগুন ধরিয়ে দেয়ার হুমকিও দেন। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে লঞ্চের মাস্টার আহত যাত্রীদের নিয়ে ঢাকার দিকে রওনা দেন।
https://slotbet.online/