বরিশালের স্থানীয় একটি অনিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টালের অফিসে এক যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে তিনটায় শহরের বান্দ রোডস্থ জেলা পরিষদ মার্কেটের তৃতীয় তলায় ওই অফিসে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত বেলাল (৩৪) বরিশাল সদর উপজেলার শায়েস্তাবাদ ইউনিয়নের পশ্চিম চরআইচা গ্রামের মো. আব্দুল হক রাজের ছেলে। পেশায় ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল চালক ছিলেন।
এ ঘটনায় পুলিশ সদর উপজেলার চরমোনাই ইউনিয়নের গিলাতলি এলাকার সিরাজ হাওলাদারের ছেলে অটোরিকশা চালক রনি হাওলাদার (২৮), মায়া চৌধুরী (১৮), সাদিয়া আক্তার (২০) নামে দুই নারীকে আটক করেছে। এদিকে, এটি কোনো হত্যাকাণ্ড নয় বলে দাবি করেছেন আটক অটোরিকশা চালক রনি হাওলাদার।
তার দাবি, ভবনের পাশে থাকা বিদ্যুতের তারে হাত লেগে দুর্ঘটনার শিকার হন বেল্লাল। তবে ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত কথিত সাংবাদিক রিপন রানা ওরফে ট্রলার রিপন আত্মগোপনে রয়েছে।
নিহতের স্বজনরা জানান, মঙ্গলবার দুপুরে খাবার খেয়ে মোটরসাইকেল নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয় বেল্লাল। এরপর ভোর রাতে রনি নামের এক ব্যক্তি ফোন করে জানায় বেল্লাল মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার শিকার হয়ে হাসপাতালে রয়েছে। পরে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের লাশঘরে গিয়ে বেলালের মরদেহ খুঁজে পান।
এ ঘটনায় জেলা পরিষদ মার্কেটের সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, রাত ১১টার দিকে বেল্লাল হোসেন এবং রানা হাওলাদারসহ তিনজন ওই অনলাইন পোর্টাল অফিসে প্রবেশ করে। রাত ৪টা ৭ মিনিটের দিকে দুই নারী মার্কেট ভবন থেকে নেমে যায়। এ সময় সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে তাদের টাকা ভাগবাঁটোয়ারা করতে দেখা যায়। এর কিছুক্ষণ পর রাত ৪টা ১৩ মিনিটে কথিত সাংবাদিক রিপন রানা ও অটোরিকশা চালক রনি হাওলাদার একত্রে ধরে বেল্লালের দেহ নিচে নামান।
বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, ‘সকালে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে রনি নামের একজনকে আটক করা হয়েছে। বিকেলে অভিযান চালিয়ে আরো দুই নারীকে গ্রেফতার করা হয়। তারা দাবি করেছেন, রাতে তারা একসঙ্গে আড্ডা দিচ্ছিল। তখন ভবনের পাশ ঘেঁষে যাওয়া হাই ভোল্টের বিদ্যুতের তারে হাতে লাগলে বেল্লাল বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যায়। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে এটিকে হত্যাকাণ্ড বলে দাবি করেছে। এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
এ রকম আরো সংবাদ...