ফিলিস্তিনের গাজায় ফিলিস্তিনিদের ধ্বংস করার লক্ষ্যে ‘গণহত্যা’ চালানোর জন্য ইসরায়েলকে অভিযুক্ত করেছে জাতিসংঘের তদন্তকারীরা। আজ মঙ্গলবার দেশটির প্রধানমন্ত্রীসহ শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে উসকানির অভিযোগ এনেছে জাতিসংঘ। জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক তদন্ত কমিশনের (সিওআই) প্রধান নাভি পিল্লাই বলেন, ‘গাজায় গণহত্যা চলছে এবং তা অব্যাহত আছে। এর দায়ভার ইসরায়েল রাষ্ট্রের ওপরই বর্তায়।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলছে, কমিশনটি ইসরায়েল অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছে। গাজায় যুদ্ধ শুরুর প্রায় দুই বছর পর কমিশন তাদের সর্বশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সংস্থাটি জাতিসংঘের পক্ষ থেকে সরাসরি কথা বলে না। এর আগেও এরা ইসরায়েলের তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছিল।
ইসরায়েল সঙ্গে সঙ্গেই এই প্রতিবেদন ‘পুরোপুরি’ প্রত্যাখ্যান করেছে। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একে ‘বিকৃত ও মিথ্যা’ আখ্যা দিয়ে এই অনুসন্ধান কমিশন অবিলম্বে বিলুপ্ত করার দাবি জানায়।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের ইসরায়েলে হামলার মাধ্যমে যুদ্ধ শুরু হয়েছিল। ইসরায়েলের সরকারি তথ্যের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্তা রয়টার্স জানায়, হামলায় ১ হাজার ২১৯ জন নিহত হয়, যাদের বেশিরভাগই ছিলেন বেসামরিক নাগরিক।
এর জবাবে ইসরায়েলের পরিচালিত সামরিক অভিযানে গাজায় প্রায় ৬৫ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে, যাদের অধিকাংশই বেসামরিক। এটি হামাস-শাসিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য। জাতিসংঘ এই তথ্যকে বিশ্বাসযোগ্য হিসেবে গণ্য করেছে।
রয়টার্স বলছে, গাজার অধিকাংশ বাসিন্দা অন্তত একবার বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। বর্তমানে আরও ব্যাপক বাস্তুচ্যুতি ঘটছে, কারণ ইসরায়েল গাজা শহরের নিয়ন্ত্রণ নিতে অভিযান জোরদার করেছে। জাতিসংঘ ইতোমধ্যেই সেখানে সম্পূর্ণ দুর্ভিক্ষ ঘোষণা করেছে।
https://slotbet.online/