ভোলায় নির্মাণাধীন দোকানঘর ভাঙচুর ও নির্মাণ সামগ্রী লুটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) বিকেলে সদর উপজেলার ভেদুরিয়া ইউনিয়নের ব্যাংকের হাট বাজারে। স্থানীয় লোকজন এসব দোকান ভাংচুর ও লুটপাটের দৃশ্য দেখলেও কেউ কিছু বলার সাহস পায়নি।
এ ব্যাপারে ক্ষতিগ্রস্থ দোকান মালিক রুহুল আমিন বলেন, জমিন কিনেছিলাম মহসিন মিয়ার কাছ থেকে। আজিজ দীর্ঘদিন ধরে আমাদেরকে হুমকি সহ বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি দেখে আসছিল। আজিজের নেতৃত্বে মঙ্গলবার আসরের পরে ৩০/২০ লোকজন নিয়ে আমাদের নির্মাণাধীন তিনটি দোকান ভাঙচুর করে নিয়ে গেছে। এই জমির প্রকৃত মালিক আমরাই। আজিজ তার প্রভাব দেখিয়ে আমাদের দোকান ভাঙচুর করে নিয়ে গেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ আরিফ হোসেন বলেন, এই জমিনের মালিক বরিশালের একজন। এই জমিন আমাদের কাছ থেকে তিনি কিনেছিল। আমরা ৫০ সাল থেকে এই জমিনের আর/এস, এস/এ, বি/এস মালিক। আশেপাশের যত দোকান পার্ট আছে এগুলো সব আমাদের। আমরা রুল আমিনের কাছে ৩ শতাংশ জমি বিক্রি করি। রুহুল আমিন দোকান তুলেছে প্রায় তিন মাস। আজকে রুহুল আমিন দোকানের বিডি তোলার জন্য বালু ফেলে ছিল। কিন্তু আজকে হঠাৎ করে আজিজ সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়া এই দোকান ভাঙচুর করে নিয়ে গেছে।
পার্শ্ববর্তী এক দোকানদার জানান, দুপুরে রুহুল আমিন ভাই তার দোকানে বালি ফেলেছিল। দোকানের সামনে কিছু কাজ ছিল তার জন্য। দোকান নির্মাণ করেছে আজ প্রায় তিন মাসের মত। সামনে কাজ শেষ হলে হয়বা কালপরশু দোকানে ভাড়াটিয়া উঠবে। আমি আসরের নামাজ পড়ে এসে দেখি এখানে এত বড় তিনটি দোকান কিন্তু দোকান নেই। পরে দেখি একটু দূরে কয়েকজন যার যার মত করে দোকানের কাট- পালা, টিন ভাগ করে নিয়ে যাচ্ছে। তাদেরকে চিনতে পারিনি, কিন্তু আজিজের নেতৃত্বে এগুলো হয়েছে।
তবে অভিযুক্ত আজিজ দোকানপাট ভাঙচুর করে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি অসত্য বলে তিনি জানান, এই জমিনটি আমি ২০১৬ সালে খরিদ করেছি। এই জমি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা চলমান। দোকান ছিল না, আমার জায়গায় আমি বালি আজকে ফেলেছি। কিন্তু তারা বেশি সন্ত্রাসী কায়দা, জমি জবর দখল করার জন্য একটি টেক্সচারের দোকান উঠানোর চেষ্টা করেছিল সেই ঘরটা এখনো অক্ষত রয়েছে। এ বিষয়গুলো সম্পূর্ণ প্রশাসন অবহৃত রয়েছে।
তবে এই জমিনের প্রকৃত মালিককের কাছে জায়গাটি বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য দাবী জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
https://slotbet.online/