সরকারি সৈয়দ হাতেম আলী কলেজের ছাত্রাবাসগুলোকে ভূমিকম্পের সময়ে নিরাপদ রাখতে দ্রুত কাঠামোগত পরীক্ষা ও জরুরি প্রশিক্ষণ চালুর দাবি জানিয়েছে জাতীয় ছাত্রশক্তি। পুরোনো ও ঝুঁকিপূর্ণ ছাত্রাবাসগুলো নিয়ে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা প্রশ্নবিদ্ধ হওয়ায় আজ সংগঠনটি কলেজ অধ্যক্ষের কাছে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি পেশ করে।
ছাত্রশক্তির অভিযোগ—দীর্ঘদিনের পুরাতন নির্মাণ, নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের অভাব এবং কোনো ধরনের সেসমিক (ভূমিকম্প) নিরাপত্তা মূল্যায়ন না থাকায় ছাত্রাবাসগুলো বাস্তবিক অর্থেই ঝুঁকিপূর্ণ। সামান্য ভূমিকম্পেও বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে তারা আশঙ্কা প্রকাশ করে।
সংগঠনটি জানায়, বিশ্বজুড়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর ভবনে ‘Earthquake Resilience’ নিশ্চিত করা এখন বাধ্যতামূলক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। অথচ সৈয়দ হাতেম আলী কলেজের ছাত্রাবাসগুলো সেসমিক স্ট্যান্ডার্ড মানছে কি না, তার কোনো আনুষ্ঠানিক রেকর্ডই নেই।
জাতীয় ছাত্রশক্তির ৫ দফা দাবি
১️.সেসমিক ভালনারেবিলিটি অ্যাসেসমেন্ট: ছাত্রাবাসগুলোর মাটি, কাঠামো ও শক্তি পরীক্ষা করে ভূমিকম্প সহনশীলতা নিরূপণ করতে বিশেষজ্ঞ দল গঠন।
২️. নতুন নিরাপদ ছাত্রাবাস: পুরোনো দুর্বল ভবনের পরিবর্তে নতুন ভূমিকম্প-সহনশীল আবাসন নির্মাণে সরকারি উদ্যোগ।
৩️.জরুরি সংস্কার: ঝুঁকিপূর্ণ অংশ চিহ্নিত হলে তাৎক্ষণিকভাবে আধুনিক পদ্ধতিতে মেরামত ও শক্তিবৃদ্ধির কাজ করা।
৪️. জরুরি ড্রিল ও প্রশিক্ষণ: ভূমিকম্প, অগ্নিকাণ্ডসহ যেকোনো দুর্ঘটনায় দ্রুত সাড়া দেওয়ার সক্ষমতা গঠনে শিক্ষার্থীদের নিয়মিত মহড়া।
৫. নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণ: নিরাপত্তা নিশ্চিত না হলে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি।
জাতীয় ছাত্রশক্তির নেতারা বলেন, “ছাত্রাবাসে থাকা শিক্ষার্থীদের জীবনই সবচেয়ে বড় বিষয়। কাঠামো নিরাপদ না হলে যেকোনো সময় বড় বিপর্যয় ঘটতে পারে। তাই দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া ছাড়া বিকল্প নেই।”
তারা আশা প্রকাশ করেন, কলেজ প্রশাসন তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নিয়ে ছাত্রাবাসগুলোর নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করবে।
https://slotbet.online/