চলে গেলেন ভোলাসহ দক্ষিণাঞ্চলের সাংবাদিকতার
কিংবদন্তি সাংবাদিক বীর মুক্তিযোদ্ধা এম. হাবিবুর রহমান। তিনি সোমবার
দুপুর ৩টায় রাজধানীর পিজি হাসপাতালে চিকিসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন
(ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে স্ত্রী, এক ছেলে ও দুই
মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয় স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তার ছেলে হামিদুর রহমান হাসিব ( হাসিব রহমান ) দৈনিক জনকণ্ঠ এবং মাছরাঙা টেলিভিশন চ্যানেলে
ভোলা জেলা প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
মৃত্যুকালে তার বয়স ছিল ৮৫ বছর। রবিবার ভোরে হঠাৎ করে শ্বাসকষ্ট দেখা দেওয়ায়
প্রথমে ভোলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য সড়ক পথে
নেওয়া হয় ঢাকার পিজি হাসপাতালে। ১৯৭০ সালের জলোচ্ছ্বাস ঘূর্ণিঝড়
গোর্কীর তান্ডব ও হানার পর নিশ্চিহ্ন জনপদের সংবাদ তার মাধ্যমে প্রথম প্রকাশিত
হয় তৎকালীন পূর্ব দেশ পত্রিকায়। কাঁদো বাঙালি কাঁদো, ভোলার গাছে গাছে
ঝুলছে লাশ’ ওই শিরো নামের সংবাদটি পিআইবি’তে আজও সংরক্ষিত রয়েছে।
প্রবীন এই সাংবাদিক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন ১৯৬৭ সালে দৈনিক
পূর্বদেশ পত্রিকায় কাজ করার মধ্য দিয়ে সাংবাদিকতার জগতে প্রবেশ করেন। তার পর
থেকে দীর্ঘ প্রায় ছয় দশক সাংবাদিকতার জগতে বিচরণ করেন। ভোলা
প্রেসক্লাবের ১৮ বার নির্বাচিত সভাপতি, ৮বার সম্পাদকসহ ৩৫ বছর দায়িত্বে
থাকা দৈনিক বাংলার কন্ঠের সম্পাদক ও বাংলাদেশ বেতারের সাবেক জেলা প্রতিনিধি
বীর মুক্তিযোদ্ধা এম. হাবিবুর রহমান। দীর্ঘকাল বাংলাদেশ বেতারে সংবাদদাতা
হিসেবে কাজ করেন। ১৯৯৪ সাল থেকে তার সম্পাদনায় দৈনিক বাংলার কন্ঠ পত্রিকা
প্রকাশিত হয়ে আসছে। ২০২২ সালে তিনি ৭০ এর জলোচ্ছ্বাস ও ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ
রিপোর্টিং এর জন্য বসুন্ধারা মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড পান।
১৯৮৫ সালে ঢাকাগামী এমভি সামিয়া লঞ্চ ডুবির নিউজ তৎকালীন খুলনা বেতারে
ভোরের সংবাদে সর্ব প্রথম প্রকাশিত হওয়ায় তিনি রাষ্ট্রপতির পুরস্কার পান।
মুক্তিযুদ্ধে সাহসিকতার সঙ্গে পাকহানাদের টর্চার সেলের সচিত্র প্রতিবেদন
প্রকাশ করেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি সাংবাদিকতা করে গেছেন।
তার মৃত্যুতে শোক জানান, ভোলা-২ আসনের সাবেক এমপি হাফিজ ইব্রাহিম,
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম নবী আলমগীর, সদস্য সচিব রাইসুল আলম, জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে
আমির অধ্যক্ষ মাওলানা মোঃ নজরুল ইসলাম, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি ( বিজেপি)’র
সম্পাদক মোতাছিন বিল্লাহ, ইলিশা ইসলামিয়া মডেল কলেজের অধ্যক্ষ মাজহারুল ইসলাম, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক সাধারণ সম্পাদক
ইয়ারুল আলম লিটন, ভোলা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি এম. ফারুকুর রহমান,
ভোলা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মোঃ আবু তাহের, প্রেসক্লাবের সাবেক
সম্পাদক মোকতাদির বিল্লাহ, প্রেসক্লাবের সাবেক সম্পাদক অমিতাভ অপু,
প্রেসক্লাবের সাবেক সম্পাদক সামসুল আলম মিঠু, বর্তমান আহ্বায়ক
কমিটির আহবায়ক এ্যাডভোকেট ড. আমিরুল ইসলাম বাসেত, প্রেসক্লাবের
সাবেক সহ সভাপতি ওমর ফারুক, সাবেক সহসভাপতি জুন্ন ু রায়হানসহ কর্মরত
সাংবাদিকরা।
https://slotbet.online/