জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। আগামী সাত দিনের মধ্যে এসব দাবির বিষয়ে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় জবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদ্দিন গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
ড. মো. রইছ উদ্দিন জানান, অর্থ মন্ত্রণালয় ও উপদেষ্টার কার্যালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। আলোচনার পর জানানো হয়, বিভিন্ন দাবি মেনে নিয়েছে সরকার।
আলোচনায় সরকারের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালন বাজেট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত আসে। বাজেটে বরাদ্দ বৃদ্ধির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের প্রথম দাবির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একই সাথে আবাসন সংকট নিরসনে খুব দ্রুত অস্থায়ী হল নির্মাণের কাজ শুরু করা হবে।
দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে অতি দ্রুত বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে বলেও জানানো হয়।
এর আগে আজ টানা তৃতীয় দিন রাজধানীর কাকরাইল মোড়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। পরে বিকেল থেকে কাকরাইলে গণঅনশনের ঘোষণা দেয় শিক্ষার্থীরা।
তীব্র রোদ উপেক্ষা করেই, টানা তৃতীয় দিন রাজধানীর কাকরাইল মোড়ে অবস্থান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের। শুক্রবার তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন সাবেকরাও। সঙ্গে ছিল শিক্ষক সমিতি।
এর আগে গত মঙ্গলবার (১৩ মে) দুপুরে দাবি আদায়ে শিক্ষার্থী ও শিক্ষক প্রতিনিধির সমন্বয়ে একটি প্রতিনিধিদল ইউজিসিতে যান। কিন্তু ইউজিসি থেকে আশানুরূপ কোনো ঘোষণা না আসায় ‘লংমার্চ টু যমুনা’ কর্মসূচি ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা। সেদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিয়াশীল রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত ‘জুলাই ঐক্য’ সংগঠনের পক্ষ থেকে এ কর্মসূচি ঘোষণা দেওয়া হয়।
পরে বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মৎস্যভবন পার হয়ে কাকরাইল মসজিদের ক্রসিংয়ে এলেই শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের লংমার্চে পুলিশের সংঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় পুলিশের টিয়ারগ্যাস ও লাঠিচার্জে আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নেন অনেকে।
শিক্ষার্থীরা প্রথমে তিন দফার দাবিতে আন্দোলন শুরু করে। পরে তা ৪ দফা দাবিতে পরিনত হয়। শিক্ষার্থীদের চার দফা দাবি হলো:
১. আবাসনব্যবস্থা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর জন্য আবাসন বৃত্তি ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে কার্যকর করতে হবে।
২. জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট কাটছাঁট না করেই অনুমোদন করতে হবে।
৩. জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ পরবর্তী একনেক সভায় অনুমোদন করে অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়ন করতে হবে।
৪. শিক্ষার্থীদের ওপর প্রশাসনের হামলার বিচার।
https://slotbet.online/