• শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫, ১০:০৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
জুলাই সনদ ঘোষনার দাবিতে বরিশালে ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত কলাপাড়ায় কৃষক বাজারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক  এ সরকার দেশের স্বার্থ বিক্রি করার জন্য আসেনি : নৌপরিবহন উপদেষ্টা নির্মাণাধীন পাঁচতলা ভবন থেকে পড়ে নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু বর্ণাঢ্য আয়োজনে বরিশালে বাংলানিউজের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন শ্রমিক কল্যাণের উদ্যোগে জুলাই যোদ্ধাদের জন্য দোয়া মাহফিল অসহায়দের স্বাবলম্বী করতে সেলাই মেশিন ও ভ্রাম্যমান কফি মেকার বিতরন এলপি গ্যাসের ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম কমল ৩৯ টাকা সৃষ্টিকর্তাকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য : যুবক আটক ‎আবার লাল জুলাই: প্রোফাইলের রঙে জেগে উঠেছে এক বিপ্লবের চেতনা

কীর্তনখোলা-১০ লঞ্চের রুট পারমিট বাতিল

স্টাফ রিপোর্টার / ৭৩ পড়া হয়েছে
প্রকাশিত : রবিবার, ৮ জুন, ২০২৫

নানান অভিযোগে ও বরিশালে কোস্টগার্ডের দায়ের করা মামলার পর ঢাকা-বরিশাল নৌরুটের যাত্রীবাহী নৌযান এমভি কীর্তনখোলা-১০ লঞ্চের রুট পারমিট বাতিল করা হয়েছে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের যুগ্ম-পরিচালক মুহম্মদ মোবরাক হোসেনের স্বাক্ষরিত এক আদেশে শনিবার (৭ জুন) দিবাগত রাতে তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত হওয়া গেছে।

বরিশাল নবগ্রাম রোডের মেসার্স সালমা শিপিং লাইন্সের পরিচালনাধীন এমভি কীর্তনখোলা-১০ এর মালিক ও ম্যানেজার বরাবরে ওই আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকা-বরিশাল নৌপথে চলাচলকারী এমভি কীর্তনখোলা-১০ যাত্রীবাহী নৌযানটি গত ৫ জুন রাত এগারোটার দিকে বরিশালের উদ্দেশ্যে সদরঘাট টার্মিনাল ত্যাগ করার পর পোস্তগোলা ব্রীজ অতিক্রম করার পূর্বে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, লঞ্চের একটি প্রপেলার ভাঙ্গায় এক ইঞ্জিনে লঞ্চটি চালিয়ে নেয়া হচ্ছে।

এ সংবাদের পর পরিবহন পরিদর্শক এমভি কীর্তনখোলা-১০ লঞ্চের দায়িত্বরত ইনচার্জ মাষ্টার শুক্কুর এবং ইনচার্জ ড্রাইভার মিজানুর রহমানের সাথে মোবাইল ফোনে প্রপেলার ভাঙ্গার বিষয়ে জানতে চাইলে তারা তথ্যের সত্যতা স্বীকার করেন।

তাৎক্ষনিক পরিবহন পরিদর্শক সম্ভাব্য নৌ-দূর্ঘটনা এড়াতে লঞ্চের মাষ্টারকে যাত্রা বাতিল করে সদরঘাট টার্মিনালে ফেরত আসার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন। কিন্তু দায়িত্বরত মাষ্টার সদরঘাট টার্মিনালে ফেরত আসার অনিহা প্রকাশ করায় পরিবহন পরিদর্শক বিষয়টি যুগ্ম-পরিচালককে (নৌনিট্রা) অবহিত করেন।

যুগ্ম-পরিচালক (নৌনিট্রা) লঞ্চের মাষ্টারের সাথে ফোনে কথা বলে সদরঘাট টার্মিনালে ফেরত আনার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। পরবর্তীতে মাষ্টারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও মাষ্টারের মোবাইল নম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়।

আদেশের আরও উল্লেখ করা হয়েছে, লঞ্চের মাষ্টার নির্দেশনা অমান্য করে সিঙ্গেল ইঞ্জিন চালিয়ে নৌযানটি বরিশালের উদ্দেশ্যে যায়। এহেন পরিস্থিতিতে বড় ধরনের নৌ-দূঘটনা ঘটা এবং ঈদ-উল-আযহায় ঘরমুখো যাত্রীদের জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির হওয়ার সম্ভাবনা ছিল।

ফলে কর্তৃপক্ষের তথা সরকারের ভাবমুর্তি নষ্ট হতে পারতো। নৌযানের মাষ্টারের এমন আচরন এবং নির্দেশনা অমান্য করায় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন (নৌ-রুট পারিমট, সময়সূচী ও ভাড়া নির্ধারন) বিধিমালা-২০১৯ সংশ্লিষ্ট ধারার পরিপন্থি। যেকারণে নৌযানটি পরিচালনা করায় লঞ্চটির চলাচল পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সাময়িকভাবে স্থগিত করা হলো।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ রকম আরো সংবাদ...
https://slotbet.online/