• রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫, ০৭:৪৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম
ডেঙ্গুতে একদিনে সারাদেশে আক্রান্ত ৩১৭ জন, বরিশালেই ১২৭ জন বরিশাল সাংবাদিক ফোরামের নতুন কমিটিকে দায়িত্বভার হস্তান্তর কলাপাড়ায় সর্বপ্রথম মসজিদের মুয়াজ্জিনের জন্য পেনশন চালু কুয়াকাটায় ৩ লক্ষাধীক টাকার ইয়াবা ও তৈরির কাঁচামাল  ক্রিস্টাল আইচ সহ আটক -৪  জুলাই সনদ ঘোষনার দাবিতে বরিশালে ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত কলাপাড়ায় কৃষক বাজারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক  এ সরকার দেশের স্বার্থ বিক্রি করার জন্য আসেনি : নৌপরিবহন উপদেষ্টা নির্মাণাধীন পাঁচতলা ভবন থেকে পড়ে নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু বর্ণাঢ্য আয়োজনে বরিশালে বাংলানিউজের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন শ্রমিক কল্যাণের উদ্যোগে জুলাই যোদ্ধাদের জন্য দোয়া মাহফিল

গাজায় দুর্ভিক্ষের হুঁশিয়ারি জাতিসংঘের

দর্পন ডেস্ক / ৩৬ পড়া হয়েছে
প্রকাশিত : মঙ্গলবার, ২৭ মে, ২০২৫

গাজা উপত্যকার মোট চাষযোগ্য জমির ৯৫ শতাংশের বেশি বর্তমানে চাষের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের অঙ্গসংগঠন খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) এবং জাতিসংঘ স্যাটেলাইট সেন্টার। সোমবার (২৬ মে) প্রকাশিত এক যৌথ ভূ-স্থানিক বিশ্লেষণে এই ভয়াবহ পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়। খবর আল জাজিরা।

এফএও এই পরিস্থিতিকে ‘অত্যন্ত উদ্বেগজনক’ আখ্যা দিয়ে সতর্ক করে বলেছে, ইসরায়েলের সামরিক অভিযানে কৃষি অবকাঠামোর বিপুল ক্ষতি গাজায় খাদ্য উৎপাদনের সামর্থ্যকে ধ্বংস করে দিয়েছে এবং দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা আরো তীব্রতর করেছে।

বিশ্লেষণ অনুযায়ী, গাজার মোট কৃষিজমির ৮০ শতাংশের বেশি এরইমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং তার মধ্যে ৭৭ দশমিক ৮ শতাংশ জমি কৃষকদের জন্য এখন আর ব্যবহারযোগ্য নয়। মাত্র ৬৮৮ হেক্টর বা প্রায় ৪ দশমিক ৬ শতাংশ কৃষিজমি চাষের উপযোগী রয়েছে।

অবকাঠামো ধ্বংসের মাত্রা এখানেই শেষ নয়। গাজার কৃষি ব্যবস্থার অপরিহার্য অংশ—গ্রিনহাউস এবং পানির উৎসগুলোও পড়েছে ব্যাপক ক্ষতির মুখে। ৭১ দশমিক ২ শতাংশ গ্রিনহাউস এবং ৮২ দশমিক ৮ শতাংশ কৃষিনির্ভর কূপ এখন অকেজো।

এফএও-এর উপমহাপরিচালক বেথ বেকডল বলেন, এই ধ্বংস কেবল অবকাঠামোর ক্ষতি নয়, এটি গাজার সম্পূর্ণ কৃষি-খাদ্য ব্যবস্থার এবং মানুষের জীবনরক্ষাকারী যোগসূত্রগুলোর ধস। যা একসময় লাখ লাখ মানুষের খাদ্য, আয় ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করত তা এখন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, ফসলের মাঠ, গ্রিনহাউস ও পানির কূপ ধ্বংস হয়ে যাওয়ার ফলে স্থানীয় খাদ্য উৎপাদন সম্পূর্ণভাবে থেমে গেছে। এই পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে শুধু ব্যাপক বিনিয়োগ নয়, জীবন-জীবিকা ও আশাকে ফিরিয়ে আনার জন্য দীর্ঘমেয়াদী অঙ্গীকার প্রয়োজন।

চলতি মাসের শুরুর দিকে প্রকাশিত ইন্টিগ্রেটেড ফুড সিকিউরিটি ফেজ ক্লাসিফিকেশন বিশ্লেষণ জানিয়েছে, ১৯ মাসব্যাপী যুদ্ধ, গৃহহীনতা এবং মানবিক সহায়তায় কঠোর বাধার ফলে গাজার পুরো জনসংখ্যাই চরম দুর্ভিক্ষের ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। আর এমন সময়েই এল এফএও-এর প্রতিবেদন।

ইসরায়েল গত সপ্তাহে সীমিত পরিমাণে সাহায্য ঢুকতে দেয়ার ঘোষণা দিলেও, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানবিক সংস্থা বলছে, এই সামান্য সাহায্য গাজার অনাহারী মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারছে না।

এই সহায়তা সংকটের মধ্যেই ইসরায়েলি বিমান হামলা প্রতিদিনই বহু ফিলিস্তিনিকে হত্যা করছে। সোমবার গাজা সিটিতে আশ্রয়কেন্দ্রে পরিণত হওয়া একটি স্কুলে চালানো বোমা হামলায় অন্তত ৩৬ জন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে রয়েছে অনেক শিশু। গোটা গাজা জুড়ে দিনভর ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৫০ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ রকম আরো সংবাদ...
https://slotbet.online/