জাপানের মেগাব্যাংক এসএমবিসি-এর জলবায়ুবিধ্বংসী জীবাশ্ম জ্বালানিতে অর্থায়ন করে বাংলাদেশের জলবায়ু ও জ্বালানী সংকট বাড়িয়ে তুলছে বলে অভিযোগ করেছে বরিশালের পরিবেশকর্মীরা। মঙ্গলবার দুপুরে নগরীর অশ্বিনী কুমার হলের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তারা এ অভিযোগ করেন। প্রান্তজন ট্রাস্ট, উপকূলীয় জীবনযাত্রা ও পরিবেশ কর্মজোট (ক্লিন) এবং বাংলাদেশের প্রতিবেশ ও উন্নয়ন বিষয়ক কর্মজোটের (বিডব্লিউজিইডি) উদ্যোগে এ কর্মসূচি হয়।
এ সময় বক্তৃতা দেন, আরেহির নির্বাহী পরিচালক এটিএম খোরশেদ আলম, বরিশাল পরিবেশ ও উন্নয়ন ফোরামের সদস্য আকতারুল কবির ও এ্যাডভোকেট সুভাষ দাস, প্রান্তজনের নির্বাহী পরিচালক তৌহিদুল ইসলাম শাহাজাদা প্রমুখ।
আরেহির নির্বাহী পরিচালক এটিএম খোরশেদ আলম একটি প্রতিবেদনের উদ্বৃতি দিয়ে বলেন, সুমিতোমো মিতসুই ব্যাংকিং কর্পোরেশন (এসএমবিসি) ২৩৮.৭১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার জীবাশ্ম জ্বালানি প্রকল্পগুলোতে অর্থায়ন করেছে।এ টাকা কয়লা, এলএনজি এবং এইচএফও বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ ৫০০ এমএমসিএফডি এলএনজি টার্মিনাল হয়েছে।
এতে মোট ২,২১৮ মেগাওয়াট ক্ষমতা সৃষ্টি হয়েছে। উল্লেখযোগ্য যে, এসএমবিসি বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে এক পয়সাও বিনিয়োগ করেনি। এসএমবিসি সমর্থিত প্রকল্পগুলো সরকারের উপর দীর্ঘমেয়াদী আর্থিক বোঝা সৃষ্টি করেছে। যার ফলে স্ট্র্যান্ডেড অ্যাসেট তৈরি হয়েছে এবং পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি ঘটেছে।
মাত্র ছয় বছরে সামিট এলএনজি টার্মিনাল এবং গাজীপুর-২ বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য সরকারকে ৬,৩৫৫ কোটি টাকা (৬৫৪ মিলিয়ন ডলার) ক্যাপাসিটি চার্জ দিতে হয়েছে। চলমান চুক্তি অনুযায়ী, এই প্রকল্পগুলো শেষ হলে সরকারের ২০,১২৯ কোটি টাকা (১.৮৬ বিলিয়ন ডলার) বিনিয়োগ উঠে যাবে। অথচ নির্ভরযোগ্য বা টেকসই জ্বালানি সরবরাহ সম্ভব হবে না।
তিনি আরও বলেন, এসএমবিসির জীবাশ্ম জ্বালানি প্রকল্পে অর্থায়ন শুধু জলবায়ু সংকট বাড়াচ্ছে না, দেশের অর্থনীতি ও জনগণের উপরও ভারী বোঝা সৃষ্টি করছে। এসএমবিসিকে এখনই নবায়নযোগ্য শক্তিতে বিনিয়োগ করার মাধ্যমে একটি ন্যায়সঙ্গত ও টেকসই শক্তি ভবিষ্যতের জন্য কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
https://slotbet.online/