বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর (অন্তবর্তীকালীন) হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত রসায়ন ও রসায়ন প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তৌফিক আলম। গত ১৩ মে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলরের অনুমোদনক্রমে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সরকারি সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব এ.এস.এম. কায়েস স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০০৬ এর ১০(১) ও ১০(৩) ধারা অনুযায়ী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তৌফিক আলমকে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ণকালীন ভাইস-চ্যান্সেলর নিয়োগের পূর্বপর্যন্ত অন্তবর্তী সময়ের জন্য নিয়োগ প্রদান করা হয়।
আজ ১৫ মে নবনিযুক্ত ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তৌফিক আলম বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্তবর্তীকালীন ভাইস-চ্যান্সেলর হিসেবে যোগদান করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে এ সংক্রান্ত পত্রাদি প্রেরণ করেন। ড. মোহাম্মদ তৌফিক আলম রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফলিত রসায়ন বিভাগ থেকে বি.এস.সি এবং ফলিত রসায়ন ও রসায়ন প্রযুক্তি বিভাগ থেকে এম.এস.সি সম্পন্ন করে ১৯৯২ সালে প্রভাষক পদে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত রসায়ন ও রসায়ন প্রযুক্তি বিভাগে কর্মজীবন শুরু করেন। তিনি জাপানের ওসাকা ইউনিভর্সিটি থেকে পিজিডি এবং এবং টোকিও ইনস্টিটিউট ওফ টেকনোলজি থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন। গবেষণা এবং শিক্ষাদানে ড. মোহাম্মদ তৌফিক আলমের তিন দশকের অভিজ্ঞতা, বিখ্যাত জার্নালে ৪৭টি প্রকাশনা এবং ৩০ টিরও বেশি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছেন। যার মধ্যে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সেশন চেয়ার বা আমন্ত্রিত স্পিকার হিসাবে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন।
তিনটি জার্নাল বিজ্ঞানে তাঁদের অবদানের স্বীকতিস্বরূপ জার্নালের কভার পেজে (এফইবিএস লেটারস, প্রোটিন ইঞ্জিনিয়রিং এবং কেমনানোম্যাট) তাঁদের ফলাফলগুলোকে প্রচার করেছে। তাঁর উল্লেখযোগ্য অর্জনগুলোর মধ্যে ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন অফ বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি কর্তৃক ২০০৩ সালে তরুণ বিজ্ঞানী পুরস্কার এবং জাপানিজ সোসাইটি ফর দ্য প্রমোশন অফ সায়েন্স এর ন্যানো বায়োটেকনোলজি কমিটি কর্তৃক ২০০২ সালে তরুণ গবেষক পুরস্কার অন্যতম। এছাড়াও তিনি জার্নাল অফ মলিকুলার ইভোলিউশন থেকে জুকারক্যান্ডল পুরস্কার পেয়েছেন এবং বিভিন্ন সিম্পোজিয়াম ও সম্মেলনে সেরা পেপার এবং সেরা পোস্টার উপস্থাপনা পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছেন। ড. মোহাম্মদ তৌফিক আলম ইউনেস্কো এবং অস্ট্রিয়ান সরকারের (এটিসি ফেলোশিপ) ফেলোশিপে ভূষিত হয়েছেন।
https://slotbet.online/