ঢাকা বরিশাল নৌপথে পথ নির্দেশনা বাতি, বয়া ও বিকন না থাকায় রাত্রিকালীন নৌযান চলাচল ঝুঁকির মুখে পড়েছে। বেশিরভাগ বাতি চুরি ও বিকল হওয়ায় বেড়েছে ঝুঁকি। অভিযোগ রয়েছে, এক শ্রেণির জেলে চুরির সঙ্গে জড়িত। এ বিষয়ে পুলিশকে কয়েকবার জানানো হলেও আজ পর্যন্ত কোনো সুরাহা হয়নি।
বরিশাল অঞ্চলে ১২০০ কিলোমিটার নৌপথের বিভিন্ন স্থানে অসংখ্য চর। দুর্ঘটনা এড়াতে ঝুকিপূর্ণ পয়েন্টে স্থাপন করা হয়েছে ১৩৮টি নৌপথ নির্দেশনা বাতি। এর মধ্যে ৪০টি বয়া ও ৯৮টি বিকন বাতি।
চালকেরা জানান, নির্দেশনা বাতির বেশিরভাগই চুরি হয়েছে। আর যেগুলো আছে সেগুলোও বিকল। রাতে হাজারো যাত্রী নিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় চলাচল করেন নৌযান চালকেরা।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহনের নৌপথ নির্দেশক বাতি ও মার্কার পরিদর্শক মো: ফরিদ উদ্দিন বলছেন, এ পর্যন্ত ৪৯টি সাধারণ ডায়রি করে পুলিশকে চুরির বিষয়টি জানানো হয়েছে। কিন্তু একটি ঘটনারও কোনো সুরাহা হয়নি। বরিশালের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজওয়ান আহমেদ বলেন, এ ব্যাপারে কঠোর নজরদারি করা হচ্ছে।
বরিশাল নৌবন্দর কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ সেলিম রেজা বলেন, কোরবানির ঈদ ও বর্ষা আসার আগেই সমস্যা সুরাহা করা হবে। প্রতিটি বয়ার দাম ২৬ থেকে ৩০ লাখ টাকা ও বিকনের দাম ৩ লাখ টাকা।
https://slotbet.online/