• সোমবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৭:০৭ অপরাহ্ন

ঊর্ধ্বমুখী সবজির বাজার, দাম কমছে চালের

দর্পন ডেস্ক / ৮৩ পড়া হয়েছে
প্রকাশিত : শনিবার, ৩ মে, ২০২৫

বাজারে দীর্ঘদিন পর কমেছে চালের দাম। বোরো মৌসুমের নতুন ধানের চাল বাজারে আসতে শুরু করায় দাম কমছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তবে এরই মধ্যে সবজির দামের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে। গত শীত মৌসুমে সবজির দাম সহনীয় থাকলেও বর্তমানে তা অনেক বেড়ে গেছে। প্রায় সব ধরনের সবজির দাম এখন অনেক বেশি। বৃষ্টিপাত শুরু হওয়ায় ও চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ কম থাকায় এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে জানান বিক্রেতারা। তবে মুরগি, ডিম ও মুদি পণ্যের দামে কোনো পরিবর্তন দেখা যায়নি। অপরিবর্তিত রয়েছে পেঁয়াজ, আলুর দামও। শনিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার, হাতিরঝিল বাজার, মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটসহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে এসব চিত্র দেখা যায়।

বাজারে মোটা চাল ৫৮ থেকে ৬২ টাকা, মাঝারি চালের দাম ৬৪ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি সরু নাজিরশাইল চাল বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকার মধ্যে। বাজারে মিনিকেট চালের দাম ৪ টাকা কমে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭৪ টাকায়। পুরনো একই চালের দাম ৭৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটের চাল ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘নতুন চাল ২৫ কেজির বস্তায় ২০০ টাকার মতো কমেছে। কিন্তু পুরনো চালের দামে কোনো পরিবর্তন হয়নি। এদিকে সবজির বাজার বেশ কিছুদিন ধরেই ওঠানামা করছে।

বিক্রেতাদের দাবি, এবার শীতের মৌসুমের পর দীর্ঘ সময় বৃষ্টিপাত ছিল না। ফলে সবজি খুব একটা নষ্ট হয়নি। টমেটো আগের বছরগুলোয় এ সময়টাতে অর্ধেক নষ্ট হয়ে যেত। এবার কিন্তু পুরো ফসল তোলা গেছে। আলু, পেঁয়াজও খুব একটা নষ্ট হয়নি। ফলে দামে স্বস্তি ছিল। কিন্তু এখন বৃষ্টি শুরু হয়েছে। তাই প্রতিদিনই দামের হেরফের দেখা দিচ্ছে। অন্যদিকে গ্রীষ্মের নতুন সবজি এখনো বাজারে আসা শুরু হয়নি। তাই কিছু কিছু সবজির দাম বাড়তে শুরু করেছে। এটি কিছুদিন পর আরো বাড়তে পারে।

গতকাল বাজার ঘুরে দেখা যায়, বরবটি ৬০, বেগুন ৭০, শসা ৮০, চিচিঙ্গা ৭০, ঢেঁড়স ৫০, পটোল ৫০, টমেটো ৩০, সসিন্দা ৭০, লাউ ৭০, জালি ৬০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া কাঁচামরিচ ৭০ টাকা, লেবুর হালি ২০, ক্যাপসিকাম ২২০, করলা ৮০, বিভিন্ন শাকের আঁটি ১৫ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

অন্যদিকে দাম অপরিবর্তিত আছে মুরগির। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ এবং সোনালি জাতের মুরগি ২৭০ থেকে ২৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বেশ কয়েক সপ্তাহ নিম্নমুখী ডিমের দরে তেমন পরিবর্তন দেখা যায়নি। প্রতি ডজন ফার্মের ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়।

মাছের দামে কিছুটা চড়া ভাব দেখা গেছে। বিক্রেতারা জানিয়েছেন, বর্তমানে চাষের মাছের সরবরাহ কিছুটা কম। এতে নদীর কিছু মাছের দাম বেড়েছে। পাশাপাশি জাটকা ধরা বন্ধ থাকায় অনেক নদীতে মাছ আহরণ বন্ধ। যে কারণে দাম বেড়েছে ইলিশসহ চিংড়ি মাছের দাম।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ রকম আরো সংবাদ...
https://slotbet.online/