বরিশালে পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, সামাজিক নিরাপত্তায় আর্থিক সহয়তা প্রদানের জন্য স্থানীয় সরকার এবং গণপ্রতিনিধিত্ব বা জনপ্রতিনিধির বিকল্প নেই। একইসাথে স্থানীয় উন্নয়ন স্থানীয়দের সাথে পরামর্শ করে না করা হয়, তাহলে এর সুফল পাওয়া যায় না। এক্ষেত্রেও সুফল জনগণের কাছে পৌছে দিতে জনপ্রতিনিধির বিকল্প নেই।
সোমবার বিকালে বরিশাল সার্কিট হাউজ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বরিশাল মহানগরের নাগরিক সুযোগ-সুবিধা সর্ম্পকে স্থানীয় সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন, গণমাধ্যমকর্মী, সুশীল সমাজ ও এনজিও প্রতিনিধিদের সাথে তিনি এই মতবিনিময় সভা করেন।
এসময় তিনি আরও বলেন, সামাজিক নিরাপত্তা বরাদ্দের সুবিধাভোগীদের অর্ধেক রাজনৈতিক বিবেচনার দেয়া হয়েছে। এটা না হলে উপকাভেগীরা বেশি সুবিধা পেত। অনেক বড় প্রকল্প আছে যা গিলতেও পারছি না, আবার ফেলতেও পারছি না। ৫০ কোটি টাকার কম কোন প্রকল্প দিলে তাৎক্ষণিক অনুমোদন ও বাস্তবায়ন করা যাবে। তবে বড় কোন প্রকল্প নেয়া হবে না। মাতারবাড়ি প্রকল্প ছাড়া। মাঝারি প্রকল্পের আওতায় ফরিদপুর-বরিশাল-কুয়াকাটা ছয় লেন প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে। গাছ কাটা ঘরবাড়ির ক্ষতি না করেই এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা যাবে।
উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন বলেন, বরিশাল প্রাচের ভেনিস হতে পারতো। আমরা খালগুলোকে অবহেলা করেছি। অবহেলার কারণে শুধুই সেচের ক্ষতি হয়েছে তা না, আমরা ভূপৃষ্টের পানিও ব্যবহার করতে পারছি না। বরিশালে পানি পরিশোধনাগার নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। যদি লাভ ক্ষতির হিসাব ঠিক থাকে তাহলে আমরা সেই পানি পরিশোধনাগারকে পুনরাজ্জিবিত করবো। ভূপৃষ্টের পানির ব্যবহার আমাদের আরও বৃদ্ধি করতে হবে।
উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন আরও বলেন, আমরা অনেকগুলো গ্যাস ফিল্ডের জন্য প্রকল্প ও অনুসন্ধান শুরু করছি। ভোলার একটি গ্যাস ফিল্ড রয়েছে। সেখান থেকে গ্যাস উত্তোলন করতে যন্ত্রপাতি স্থাপন করা হয়েছে। আরও কিছু প্রকল্প রয়েছে। ঐতিহ্যবাহী বরিশাল ভৌগলিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ। এখানে হাব তৈরি করা উচিত। হাবের জন্য উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা হয়ে যাচ্ছে। এখন ভোলার গ্যাসে যদি এ অঞ্চলের জন্য ব্যবহার করা যায় তাহলে আরও শিল্প সমৃদ্ধ হতে পারে বরিশাল। তবে তা পরিবেশের ক্ষতি করে না। এসময় বরিশালের জেলা প্রশাসক দেলোয়ার হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
https://slotbet.online/